বসিরহাটের সাকচুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে (tmc infighting) গুলি চলল। সেই গুলিতে জখম এক পুলিশকর্মী (policeman injured)। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পুলিশকর্মী, প্রভাত সর্দারকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গোলমাল থামাতে পুলিশও শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। সোমবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে টাকি রোডের উপর। ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা। পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পদস্থ কর্তারা অকুস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসের সামনে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। তারপর দুই গোষ্ঠীর লোকজন গালিগালাজ শুরু করে। তার থেকেই হাতাহাতি লেগে যায়। বাঁশ, রড নিয়ে মারামারিতে জড়ায় দুই গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল আদালত
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে শাষকদলের এক গোষ্ঠীর লোকজন গুলি চালায়। তাতেই অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক কনস্টেবলের পিঠে গুলি লাগে। এরপর বসিরহাট থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। তখনও উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। গোলমাল থামাতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় শূন্যে। শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশকে গুলি খেতে হয়, এটা এই রাজ্যেই সম্ভব, বলছেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।