গড়াগাছায়: দু’দিন বন্ধ থাকার পর পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) ফের সক্রিয় ওভারলোডিং(Overloading )। সোমবার জামালপুরের নসিপুর গ্রামে বালি বোঝাই ট্রাক আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দিন কয়েক আগেই পরিবহণ দফতরের কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছিল গড়াগাছা (Garachara) এলাকার বালি (Sand) মাফিয়ারা। ফের সেখানেই রমরমিয়ে চলছে ওভারলোডিং। নীরব জেলা প্রশাসন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেরুগ্রামের তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানির মদতেই এই বেআইনি বালির ওভারলোডিং চলছে। সোমবার এসডিওর তাড়া খেয়ে বালির একাধিক গাড়ি ঢুকে পড়ে গ্রামে। একটি গাড়ি ধরা পড়লেও বাকি সাতটি নসিপুর গ্রামে দিকে চলে যায় বলে জানান তাঁরা। গাড়িটি আটকে গ্রামের লোকজন পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: West Midnapore: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে পেটাল বিজেপি, গ্রেফতার ৫
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের গড়াগাছায় ওভারলোডিং বন্ধ করতে যান পরিবহণ দফতরের কর্মীরা। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে।এই গ্রেফতারির পর কয়েক দিন বালি তোলা বন্ধ ছিল। পুলিশও কড়া নজরদারি চালাচ্ছিল। দুদিন আগে থেকে জেলার বিভিন্ন বালি ঘাটে ফের অবৈধ ভাবে বালি তোলা শুরু হয়েছে। জেসিবি এবং ডাম্পার নিয়ে আবারও দুষ্কৃতীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন আরও কড়া নজরদারি না চালালে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমবে না। এর পাশাপাশি শাসকদলের নেতৃত্বের একাংশেরও মদত রয়েছে এর পিছনে। সেই নেতাদেরও মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। না হলে এই মাফিয়ারা থামবে না। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি শেখ সাহাবুদ্দিন অবশ্য বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মদত দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।