বীরভূম: গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ফের তৎপরতা দেখা গেল সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের। এদিন গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে সুকন্যাকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন ১২টা নাগাদ অনুব্রতর নিচুপট্টির বাড়িতে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের শান্তিনিকেতন শাখার এক মহিলা আধিকারিকও। সিবিআই সূত্রে খবর, আগেই অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এবার সেই রাইস মিল সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেষ্ট কন্যাকে।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৩ সালে হস্তান্তরের আগে শ্রীগুরু রাইস মিলের মালিক ছিলেন হারাধন মণ্ডল। তিনি মারা যাওয়ার পর এই শ্রীগুরু রাইস মিল হস্তান্তর করা হয় বলে সূত্রের খবর। যার পরে নাম হয় ভোলে ব্যোম রাইস মিল। এটি অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী ও মেয়ে সুকন্যার নামে রয়েছে বলে জানাতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ১৯ অগাস্ট ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, ৭০ বিঘায় তৈরি ওই রাইস মিলের ২০১৩ সালে ১৫ কোটি টাকা দাম ছিল। কিন্তু ওই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল মাত্র ৫ কোটি টাকায়। কীভাবে প্রভাব খাটিয়ে কম টাকায় সম্পত্তি কেনা হয়, কারা প্রভাব খাটিয়েছিল, এই সব প্রশ্নকে সামনে রেখেই শ্যামল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: Cattle Scam: অনুব্রত যোগ? ফের সিবিআইয়ের ব়্যাডারে বোলপুরের রাইস মিল
সিবিআই এর প্রশ্ন ছিল সুকন্যা মণ্ডল একজন প্রাইমারি শিক্ষক। তাহলে তিনি কীভাবে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে রাইস মিলটি কিনলেন? এই রাইস মিল কেনার নেপথ্যে কী? গরু পাচারের কালো টাকা এখানে খাটানো হয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল হক দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুল ও তার পার্টনার আব্দুল লতিফের থেকে গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের হাত ধরে টাকা পৌঁছত। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।