কলকাতা: ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে (MLA Naushad Siddiqui) ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জামিন পাননি তিনি। গতকাল শুনানির পর ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall Court) ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে। জামিন (Bail) পাননি বিধায়কের সঙ্গে বাকি ধৃতরাও। তারপর সকলকে ফের আদালতে তোলা হবে।
ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ (TMC-ISF Clash) পরবর্তীতে ধর্মতলায় (Esplanade) অশান্তি কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জেরে ১০দিন পুলিশ হেফাজতের পরও জামিন পেলেন না ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। গতকাল কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিধায়ক নওশাদকে তোলা হলে বিচারক (Judge) তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি। বরং আইএসএফ চেয়ারম্যানকে (ISF Chairman) আগামী ১৪ দিনের জেলে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা (ISF Workers-Supporters)। আদালতের নির্দেশে নওশাদের জেলে হেফাজত জারি হয়েছে, তার প্রতিবাদে পরবর্তী দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আইএসএফ। বুধবার সন্ধ্যায় চিনারপার্ক আটঘরা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন একটি জায়গায় সাংবাদিকদের ডেকে নওশাদের জেল হেফাজতের তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছে দল, পাশাপাশি আগামী দিনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)-এর রাজ্যের কার্যকারী সভাপতি শামসুর আলী মল্লিক। চলতি সপ্তাহে প্রতিবাদ কর্মসূচি (Protest Program) হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় নেমে অবস্থান বিক্ষোভ (Protest) চালানোর কর্মসূচি নিয়েছে আইএসএফ। তারপরের দিন শুক্রবার রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিবাদ মিছিল হবে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরপর, শনিবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন থানা ঘেরাওয়ের পাশাপাশি অশান্তি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (TMC Leader Arabul Islam) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়েরের দাবি জানানো হবে। রবিবার সর্বদলীয় গোল টেবিল আলোচনার (All Party Round Table Discussion) জন্য রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসার উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। ওই ঘটনার জেরে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই গন্ডগোলের জেরেই আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিক সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়, ধৃতদের মধ্যে এক নাবালকও ছিল ।