কাতার: ২০০২ সালে শেষবার এশিয়ায় আয়োজিত হয়েছিল ফুটবল বিশ্বকাপ (Football World Cup)। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে _Korea-Japan) যৌথভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেবার ফাইনালে জার্মানিকে (Germany) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল (Brazil)। ফাইনালে গোল করে ভক্ত-সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন রোনাল্ডো নাজারিও (Ronaldo)। তারপর কেটে গেছে দুই দশক। চ্যাম্পিয়ন দূর, ফাইনালেও উঠতে পারেনি সেলেকাওরা। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠেও সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতা। মারাকানায় সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের ভরাডুবি হয়েছিল।
সে সব এখন অতীত। নেইমারের (Neymar) নেতৃত্বে হেক্সা মিশনের (Hexa Mission) জন্য প্রস্তুত ব্রাজিল। এবার তাদের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আজ সার্বিয়ার (Serbia) বিরুদ্ধে সময় রাত সাড়ে ১২টায় তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু। খাতায় কলমে ব্রাজিল অনেক এগিয়ে। কিন্তু পরপর দু’দিন আর্জেন্টিনা (Argentina) এবং জার্মানির অঘটনের হার হয়েছে। তাই নেইমাররা সতর্ক। হুট করে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাইছেন না সমর্থকরাও।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: আজ ঘানার মুখোমুখি পর্তুগাল, বিতর্ক সঙ্গী করেই নামছেন রোনাল্ডো
ব্রাজিলের এবার যা স্কোয়াড তাতে দুটো দল নামিয়ে দেওয়া যেতে পারে। গোলকিপার থেকে আক্রমণ পর্যন্ত সব পোজিশনে তারকার ছড়াছড়ি। কোচ তিতে কাকে বসিয়ে কাকে খেলাবেন সেটাই প্রশ্ন। রক্ষণভাগে দানিলো, দানি আলভেস, থিয়াগো সিলভা, আলেক্স স্যান্দ্রো, মারকুইনহোস, এডের মিলিতাও, অ্যালেক্স তেলেস এবং ব্রেমেরের মধ্যে চারজনকে খেলাতে হবে। বর্ষীয়ান আলভেস ছাড়া আর সবাই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলেন।
মাঝমাঠেও একই অবস্থা। ক্যাসেমিরো, ফ্রেড, লুকাস পাকিতা, ফাবিনহোর মতো ফুটবলাররা রয়েছেন। আক্রমণ ভাগে তো অস্ত্রের ছড়াছড়ি। নেইমার তো আছেনই। এছাড়া রিচার্লিসন, জেসুস, রদ্রিগো, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, অ্যান্টনি, রাফিনহা, মার্টিনেলির মতো দুর্ধর্ষ খেলোয়াড় রয়েছেন। টিতে সম্ভবত দু’পাশে ভিনিসিয়াস এবং রাফিনহা এবং মাঝখান থেকে নেইমার এবং জেসুসকে খেলাবেন। পরিবর্ত হিসেবে আসতে পারেন অ্যান্টনি, রদ্রিগো এবং রিচার্লিসন। মোট কথা তারকাখচিত এই ব্রাজিল দলের অন্তত ফাইনালে ওঠা উচিত। না হলে তা ব্যর্থতাই।