Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশEconomic Recession in China: বিশ্বের সামনে ভারত কি পারবে চীনের পরিবর্ত হয়ে...

Economic Recession in China: বিশ্বের সামনে ভারত কি পারবে চীনের পরিবর্ত হয়ে উঠতে?

Follow Us :

নয়াদিল্লি: ‘বিশ্বের কারখানা (The World’s Factory)’র আর সেদিন নেই। চীন এখন অর্থনৈতিক মন্দার (Economic Recession) কবলে। এই অর্থনৈতিক মন্দা কিন্তু একদিনে আসেনি। প্রায় একদশক ধরে চীনের অর্থনীতি ধীর গতিতে চলার পর এই অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি। এর অন্যতম কারণ হল, চীন থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে অনত্র চলে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। বিগত চার দশক বিশ্বের বাণিজ্য ও ব্যবসাকে (Trade and Business) নিজের দেশমুখী করতে সফল হয়েছিল চীন। কিন্তু, এবার হাওয়া বদলের পালা। আর তাতেই চীন ক্রমশ ব্যবসা-বাণিজ্য হারাচ্ছে। জাপানি সংবাদমাধ্যমে  (Japanese Media) প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে চীন ছেড়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাদের উৎপাদন সংক্রান্ত ব্যবসা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ১৩৫টি সংস্থা। আরও একটি উল্লেখজনক বিষয় হল, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের ঘোরতর বিরোধী হিসেবে পরিচিত জাপান। কিন্তু তা সত্ত্বেও চীনকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বেছে নিয়েছিল জাপান। সে দেশের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে গিয়েছে প্রায় ২৫০টি কোম্পানি (Company)। 

আরও পড়ুন: Moscow-Goa Flight Bomb Threat: দুই সপ্তাহে দু’বার বোমাতঙ্ক গোয়াগামী বিমানে, জরুরি অবতরণ উজবেকিস্তানে

চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার এই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক মহলে ‘ব্রেক্সিট (Brexit)-এর অনুকরণে ‘চেক্সিট (Chexit)’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। জাপানি সংস্থাগুলি চীন ছাড়ার অন্যতম কারণ হল সে দেশের সরকারের রি-শোরিং স্ট্র্যাটেজি (Re-Shoring Strategy)। এজন্য টোকিও ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার (USD) বরাদ্দ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় এই বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটি টাকা। এখন প্রশ্ন হল, এই রি-শোরিং কী? রি-শোরিং হল আর্থিক সাহায্য দিয়ে জাপানি সংস্থাগুলিকে চীন ছেড়ে দেশে ফিরে আসা কিংবা অনত্র ব্যবসা উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। জাপানি টেক জায়ান্ট সোনি (Japanese Tech Giant Sony) যেমন তাদের উৎপাদন ব্যবসার একাংশ চীন থেকে থাইল্যান্ডে (Thailand) সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। 

আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া ফ্রেন্ড শোরিং নীতি নিয়েছে (Friend Shoring Policy of South Korea)। কী এই ফ্রেন্ড-শোরিং? এটি হল, বন্ধুদেশ কিংবা যেসব দেশ চুক্তির ভিত্তিতে পারস্পরিক অংশীদার, সেখানে যন্ত্রাংশ (Spare Parts) তৈরির বরাত দেওয়া কিংবা সরবরাহ-শৃঙ্খলকে সীমিত রাখা। এই নীতি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাং (South Korean Tech Ginat Samsung) ইদানিং চীন ছেড়ে ভিয়েতনামের (Vietnam) দিকে ঝুঁকেছে। মার্কিন টেক-জায়ান্ট গুগল (US Tech Giant Google) তাদের পিক্সল ফোন (Pixel Smartphone) চীনে উৎপাদন করত, তারাও এখন চীন ছেড়ে ভিয়েতনামে যেতে সচেষ্ট। চীন-ত্যাগী সংস্থার তালিকায় নাম রয়েছে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডেরও (Apple Inc)। নাইকি (Nike) ও অ্যাডিডাসের (Adidas) মতো সংস্থাও চীন ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে মালয়েশিয়ার (Malaysia) ৩২টি সংস্থা। তাতে তারা লাভবানও হয়েছে। এইভাবে সেমিকন্টাক্টর (Semi-Conductor), মোটরগাড়ি (Vehicles), বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নির্মাতা (Machinery Manufacturer) এবং পোশাক নির্মাতা সংস্থাগুলি (Garments and Dress Making Companies) একে একে চীন ছেড়েছে এবং ছাড়ছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে চীনের অর্থনীতিতে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, এই ধারা চলতি বছরেও জারি থাকবে। 

আরও পড়ুন: Light Pollution in Night Sky: আলোর দূষণে মিলিয়ে যাচ্ছে তারারা, চাঞ্চল্যকর গবেষণা রিপোর্ট

চীনে উৎপাদন সংক্রান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা আসা ও বিদেশি সংস্থাগুলির অনত্র চলে যাওয়ার অন্যতম পরোক্ষ কারণ অবশ্যই কোভিড-১৯। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর চীন জিরো-কোভিড পলিসি (Zero-Covid Policy) নিয়েছিল। তার জেরে সেদেশে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বহু সংস্থা, তাই তারা চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে অনত্র চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি এটাও উল্লেখ করার মতো বিষয় – ভারত (India), ভিয়েতনাম (Vietnam), মালয়েশিয়া (Malaysia), বাংলাদেশ (Bangladesh), তাইওয়ানের (Taiwan) মতো দেশে তুলনায় সস্তা দরে কর্মী নিয়োগের (Recruiting Workers at Cheap Rates) নিশ্চয়তা পাচ্ছে চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে যাওয়া সংস্থাগুলি।

কিন্তু, ভারত কি পারবে হাওয়া বদলের এই পরিস্থিতিকে নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে? ভারত কি পারবে বিদেশি সংস্থাগুলিকে এদেশে উৎপাদন কারখানা (Manufacturing Hub or Factory) খোলার জন্য উৎসাহিত করতে? বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, ভারতকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। ব্যবসা ও বাণিজ্যের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলির কাছে ভারত এখনও চীনের পরিবর্ত হয়ে ওঠেনি। তার জন্য ভারতকে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির (Eastern Asian Countries) সঙ্গে আরও নিবিড় ও মজবুত বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তবেই আগামী দিনে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলির কাছে ব্যবসা ও বাণিজ্যের জন্য চীনের যোগ বিকল্প হয়ে উঠবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ (Foreign Investment) হলে, বিদেশি সংস্থাগুলি কারখানা খুললে, উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা অবশ্যই হবে না। দেশে যেমন বেকারত্ব রয়েছে, তেমনই ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে চীনকে। দরকার শুধু সঠিক বিদেশ নীতি (Foreign Policy) এবং ব্যবসায়িক ও বাণিজ্য পরিকল্পনা (Business and Trade Planning)। 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Narendra Modi | ভোট আবহে বর্ধমান, কৃষ্ণনগর ও বোলপুরে সভা করলেন মোদি
08:25
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar) | কার দখলে বিষ্ণুপুর? জয় নিয়ে আশাবাদী দুই শিবির
02:15
Video thumbnail
CV Anand Bose | 'রাজভবনে আরও ষড়যন্ত্র হচ্ছে', অডিয়ো বার্তা রাজ্যপালের
05:31
Video thumbnail
Top News | 'অনেক আগেই এটা করা উচিত ছিল', তৃণমূলে পদহীন কুণাল, বিস্ফোরক পার্থ চ্যাটার্জি
42:57
Video thumbnail
Howrah | হাওড়ার বাঁকড়ায় গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ
02:04
Video thumbnail
Narendra Modi | বর্ধমানের পর কৃষ্ণনগরে মোদি, কী বললেন প্রধান মন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
20:36
Video thumbnail
পায়ে পায়ে ধর্মযুদ্ধে | আজ বীরভূমে মোদি-অভিষেক
05:40
Video thumbnail
Narendra Modi | ভোট আবহে বর্ধমানের সভা থেকে কী বললেন মোদি, দেখুন ভিডিও
27:17
Video thumbnail
Rahul Gandhi | অমেঠী নয়, মা সনিয়ার কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে প্রার্থী রাহুল
05:30
Video thumbnail
Raj Bhaban | রাজভবনে পুলিশের প্রবেশে 'নিষেধাজ্ঞা', বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতি রাজভবনের
03:14