রায়গঞ্জ: কোচবিহার (Cooch Behar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পর এবার দক্ষিণ দিনাজপুরেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) ‘নবজোয়ারে’ (Naba Joyar) বিশৃঙ্খলা। সোমবার রায়গঞ্জে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অভিষেক সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। ভিড়ের মধ্যে অনেককে চেয়ার মাথায় নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। মাঠে ধস্তাধস্তিও চলে। পুলিশ এসে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে শুরু হয়েছে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা। এর পোশাকি নাম ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’। আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল, এই কর্মসূচি থেকেই জনমনের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই হবে। মতামত জানানোর জন্য থাকবে ব্যালটের ব্যবস্থা। অভিষেকের দাবি ছিল, স্বচ্ছ প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ওই ভোটাভুটি ঘিরে হুড়োহুড়ি, বিশৃঙ্খলা, ব্যালট ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙাভাঙি সবই চলেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় ওই ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, মানুষের অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসের ফলেই এসব ঘতছে।
আরও পড়ুন: Congress Joining | বসিরহাটে তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান শতাধিক কর্মীর
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অভিষেকের দক্ষিণ দিনাজপুর সফর। সেখানেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। তৃণমূল নেতার প্রথম সভা ছিল রায়গঞ্জে। সেখানে ভিড়ও হয় ব্যাপক। অভিষেক যথারীতি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট হবে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ। কোনও গা-জোয়ারি বরদাস্ত করা হবে না। ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই করা হবে। যাঁরা ভোট দিতে পারবেন না, তাঁরা ফোনে মতামত দিতে পারবেন। তার জন্য তিনি একটি ফোন নম্বরও দিয়ে দেন। তবে এই পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের অন্দরেও অসন্তোষ রয়েছে। ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রবিবার অভিষেকের সভাও বয়কট করেন ইসলামপুরে।
রায়গঞ্জ ছাড়াও এদিন জনসংযোগ যাত্রার সভার আয়োজন করা হয়েছিল ইটাহারেও। ইটাহার হাইস্কুল মাঠের সভায় বিকেল তিনটের সময় অভিষেকের হাজির হওয়ার কথা ছিল। রাজ্যের দুই মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, সত্যজিৎ রায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসে্ন সহ জলার নেতারা হাজির ছিলেন। কিন্তু সাড়ে চারতে নাগাদ মঞ্চ থেকে নেতারা জানান, শরীর অসুস্থ থাকায় নেতারা আসবেন না। তবে তিনি রোড শো করবেন। বিকেল পাঁচটা নাগাদ ইটাহার শহরের সরাইদিঘি থেকে চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত র্যা লি করবেন অভিষেক। এই কথা শুনেই কাতারে কাতারে লোক জমে যায় চৌরাস্তায়। জাতীয় সড়কের উপর হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তৃণমূল নেতা।