নয়াদিল্লি: গালওয়ানের পর তাওয়াং (Tawang)। অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) ফের চীন-ভারত (India-China)সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার সংসদে জানাল, চীনা বাহিনীকে (PLA) সমুচিত জবাব দিয়েছেন দেশের জওয়ানরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) পেরিয়ে চীনা আগ্রাসনের চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারত। লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এদিন বলেন, সংঘর্ষে কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি। এমনকী গুরুতরভাবে জখমও হননি কোনও ভারতীয় জওয়ান। গত ৯ ডিসেম্বর ওই সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে চীনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান রাজনাথ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আমাদের সেনাবাহিনী।
যদিও বিরোধী দলগুলি সরকারের এই বক্তব্যে খুশি নয়। তারা বিতর্কিত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছে। কংগ্রেস (Congress) সাংসদ শক্তিসিং গোহিল বলেন, সরকারের এই মনোভাবেই স্পষ্ট যে তারা আলোচনা এড়াতে বিবৃতিতেই কাজ সেরে ফেলতে চাইছে। এর আগে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সভাপতি (Congress President) মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) মুলতুবি প্রস্তাব (Adjournment Motion) আনেন এবং সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিতর্কের দাবি জানান। তৃণমূল কংগ্রেসও (AITC) ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানায়।
এদিন সংসদ বসতেই বিরোধীদের বাধায় দুই কক্ষই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হইহট্টগোলে সভা মুলতুবি করতে বাধ্য হতে হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সভা বানচাল করার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেন। তাঁর দাবি, এদিন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন নিয়ে আলোচনা এড়াতেই কংগ্রেস ইচ্ছে করে সভা ভণ্ডুল করতে চাইছে। খাড়্গে ছাড়াও মনীশ তেওয়ারি এবং সইদ নাসির হুসেন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। আপের সাংসদ রাঘব চাড্ডা এবং আরজেডির মনোজ ঝা রাজ্যসভায় আলোচনার দাবিতে মুখর হন। মিম নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন।
রাজনাথ এদিন সংসদে বিবৃতি দেওয়ার আগে সেনাবাহিনী এবং কূটনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে নেন। তাছাড়াও তিনি শেষ মুহূর্তে সরকারের অবস্থান কী হবে, তা আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন।