বেঙ্গালুরু: দলের অন্দরে প্রবল চাপ ছিলই৷ তার উপর মন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে অনড় ছিল বিরোধীরা৷ জোড়া ফলায় বিদ্ধ কর্নাটকের মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa) অবশেষে ইস্তফার (KS Eshwarappa to quit) কথা ঘোষণা করেন৷ শুক্রবার তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন৷
ঠিকাদারের মৃত্যুতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার৷ তাঁর ইস্তফার দাবি জানায় কংগ্রেস৷ যদিও বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে এদিনই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছিলেন, ঈশ্বরাপ্পাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাচ্ছেন না৷ তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত হয়েছে৷ তদন্ত আগে শুরু হোক৷ তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷’ এর কয়েকঘণ্টা বাদেই পরিস্থিতিতে বদল৷ বিকেলে ঈশ্বরাপ্পা জানিয়ে দেন, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন৷ মন্ত্রী বলেন, ‘আগামিকাল আমি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেব৷ সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷’ আচমকা সিদ্ধান্ত বদলের পিছনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল৷ মনে করা হচ্ছে, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ঈশ্বরাপ্পাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
গত মঙ্গলবার সকালে উদুপির একটি লজ থেকে উদ্ধার হয় সন্তোষ পাতিল নামে এক ঠিকাদারের দেহ৷ তাঁর মৃতদেহের কাছেই মেলে একটি সুইসাইড নোট৷ সেখানে তিনি মন্ত্রী ঈশ্বারাপ্পাকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন৷ সুইসাইড নোট থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামোন্নয়ন দফতরে ৪ কোটি টাকার একটি কাজের বরাত পেয়েছিলেন সন্তোষ৷ অভিযোগ, ওই ৪ কোটি টাকার উপর ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা৷ সুইসাইড নোটে সন্তোষ পাতিল লিখেছেন, ‘মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পা একমাত্র আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ আমার সব আশা-আকাঙ্খাকে সরিয়ে এই চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছি৷ হাতজোড় করে আমি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং বাকিদেরও বলছি, আমার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখবেন৷’ পুলিসের প্রাথমিক তদন্তেও আত্মহত্যার প্রমাণ মিলেছে৷ ময়নাতদন্তের পর এ দিন ঠিকাদারের দেহ তাঁর বেলাগভির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়৷