কলকাতা: দালালরাজ ঘুচিয়ে দেব বলে সাগর দত্ত হাসপাতালের ( Sagar Dutta Medical College Hospital ) অধ্যক্ষকে হুমকি দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। মঙ্গলবার তিনি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ৩০জন কাউন্সিলরকে নিয়ে হাসপাতালে যান। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি এই হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে সরব। সম্প্রতি হাসপাতালে তাঁর পরিচিত এক রোগীর মৃত্যু হওয়ায় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন।
এদিন তিনি হাসপাতালে এসে দেখেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান নেই। সেখান থেকেই তিনি ফোনে অধ্যক্ষকে ধরেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, আপনি বেরিয়ে গিয়েছেন কেন। মাস গেলে তো তিন লাখ টাকা বেতন পান। এখানে দালালরাজ চলছে। আপনি কোনও কেস করেননি কেন। থানায় ডায়েরি করেননি কেন। এটা কামারহাটি। দালালরাজ চলবে না। সব ঘাঁটি নাড়িয়ে দেব। পরে অধ্যক্ষ বলেন, উনি কিছু কথা বলেছেন। আমার সঙ্গে তাঁর বহুদিনের পরিচয়। কথা বলে মিটিয়ে নেব।
এদিন বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের সামনেই অধ্যক্ষকে ধমক দেন।
আরও পড়ুন: রানিনগরে স্থায়ী সমিতির ভোট কাল হচ্ছে না, নির্দেশ কোর্টের
তিনি বলেন, এই হাসপাতালে দালালরাজ চলছে। ব্যান্ডেজ পাল্টাতে হলেও হাজার হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। একই ঠিকাদার সংস্থা বছরের পর বছর বরাত পেয়ে যাচ্ছে। তার অধীনে অনেক কর্মচারী কাজ করে। তারা ছয় সাত হাজার টাকা মাত্র বেতন পায়। তাদের দিয়ে দালালি করানো হচ্ছে। আমি মদন মিত্র বলে গেলাম। কেউ টাকা চাইলে আমাকে বলবেন। আমি দেখে নেব। আমি শুনলাম, অনেককে নাকি অভিযোগ জানানোয় ভয় দেখানো হচ্ছে। সাহস থাকলে আমার সামনে এসে হুমকি দাও, বুঝে নেব। মদন বলেন, এসব বন্ধ না হলে আমি হাসপাতালে, থানায় ধরনা দেব। কাউকে লাগবে না। এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালে দালালি ধরার জন্য পুলিশ অত্যন্ত সক্রিয়। সাগর দত্তে কেন পুলিশ সক্রিয় হবে না।
কয়েকমাস আগেই এক পরিচিত যুবক বেড না পাওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে এসে গভীর রাতে তুলকালাম করেন মদন। তিনি কর্তৃপক্ষকে একহাত নেন। আরএমওকে ধমক দেন। পরে অবশ্য সেই রোগী মারা যান। পরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মদনের অভিযোগ খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি এই সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি। হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মীদের উপর হম্বিতম্বি করার অধিকার কারও নেই।
অন্য খবর দেখুন