কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে পাঁচ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলেও ঝালদা পুরসভায় কার্যত অচলাবস্থা চলছে। তৃণমূলের পাঁচ এবং কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর এবার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নির্দল চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুললেন। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে তিনি একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
এদিকে কংগ্রেসের দাবি, ঝালদায় সংখ্যালঘু বোর্ড চলছে। মুখে বলা হচ্ছে, দশজন কাউন্সিলর চেয়ারপার্সনের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, আট মাস ধরে পুরসভায় সাধারণ সভা ডাকা হয়নি। বিশেষ সভা ডেকে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বামী পঙ্গু, তবুও মেলেনি বদলি, জেলা স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির
চেয়ারপার্সনের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়েও চলছে জটিলতা। শীলা দাবি করছেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু দলেরই অনেক কাউন্সিলর তাঁকে গুরুত্ব দিতেই রাজি নন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারও প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে। শীলা আবার তাতে ক্ষুব্ধ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, দলের লোক কেন বিরোধী ভূমিকা নিচ্ছেন।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, শীলার বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা অনাস্থাও আনতে পারেন। তার প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে ঝালদা পুরসভার সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে। কংগ্রেসের হাতে থাকা একমাত্র পুরসভার দখল নিয়েও স্বস্তিতে নেই তৃণমূল।
নির্দল সদস্য শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করেই কংগ্রেস পুরসভা চালাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে শীলা-সহ কংগ্রসের কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে পুরসভা হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের।
দেখুন আরও খবর: