ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে জট কাটার কোনও লক্ষণ নেই। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেওয়ার পর মঙ্গলবার পাল্টা চিঠি দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই চিঠির মূল কথা, রাজ্যপাল শপথ নেওয়ানোর জন্য ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনীত করেছেন। কিন্তু স্পিকারের বদলে শপথগ্রহণ করাতে রাজি নন ডেপুটি স্পিকার। ফলে নির্মলের শপথ নিয়ে জটিলতা থেকেই গেল।
বিধানসভা সূত্রের খবর, এবার স্পিকার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দিতে পারেন। এর আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাসের শপথগ্রহণের সময়ও একই পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। তখনও তিনি স্পিকারের পরিবর্তে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বিধানসভার রীতি হল, রাজ্যপাল নিজে বিধায়কদের শপথ নেওয়াতে পারেন। কিংবা তিনি স্পিকারকে শপথগ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট ইউজিসি
বাইরনের শপথের ব্যাপারে অবশ্য বিধানসভা গড়িমসি করছিল বলে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি রাজভবনে চলে গিয়েছিলেন নতুন বিধায়ককে নিয়ে। তখন রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণের দায়িত্ব দেন। যদিও তিনমাস পর বাইরন তৃণমূলে যোগ দেন।
ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল রায়ের শপথের ব্যাপারে সোমবারই রাজ্যপালকে চিঠি দেন পরিষদীয় মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী বিধায়কের শপথের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই যে তিনি চিঠি লিখেছেন, মন্ত্রী সে কথাও জানাতে ভোলেননি।
মঙ্গলবারই রাজ্যপালের বিদেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বিদেশি আতিথেয়তা নিতে রাজি নন। আবার রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যের কোষাগারের টাকাও নষ্ট করতে চান না বলে তাঁর দাবি। পাশাপাশি ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য তিনি সফর বাতিল করলেন বলে রাজভবন জানিয়েছে। এদিনই তিনি স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণের জন্য মনোনীত করার কথা জানান। আগেই পরিষদীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল অযথা জটিলতা সৃষ্টি করছেন। তিনি সাংবিধানিক রীতিনীতি মানছেন না।
দেখুন আরও খবর: