কলকাতা: মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ফের ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শীতের মরশুম চলে এলেও বাজারদরে তেমন কোনও হেরফের হয়নি। ফুলকপি ছাড়া বাকি সব সবজিই এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, আজ, সোমবার, ১৪ নভেম্বর নবান্নে এই বৈঠক বসতে চলেছে। বৈঠকে থাকতে পারেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খুবই অসন্তুষ্ট। বারবার তিনি বলা সত্ত্বেও আনাজপাতিসহ চাল, ডাল বিশেষত ভোজ্য তেলের দামে সাধারণ মানুষের পকেটে আগুন লেগেছে। মাস মাইনে দিয়ে দিন কাটাতে নাজেহাল সকলেই।
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: ফের হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগরে, শেষ পর্যায়ে হেলিপ্যাড তৈরির কাজ
সাধারণত শীতকালে আনাজপত্রের দাম কিছুটা কম থাকে।শীতের আমেজ পড়লেও সেভাবে আনাজের দাম না কমায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। তার উপর হঠাৎ করেই এক লাফে ডিম, দুধ ও পাউরুটিরও দাম বেড়ে গিয়েছে ১ টাকার উপর (গড়পরতা)। সাধারণ মানুষের হেঁসেলে টান পড়ছে। এই অবস্থায় সামনেই আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাধারণত ভোটের আগে ফের একদফা দাম বাড়ে বাজারে। তাই ভোটের আগে যাতে বাজারদরে ভারসাম্য আনা যায় তার জন্য সচেষ্ট মমতা। সাধারণ মানুষকে যাতে মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে কিছুটা রেহাই দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই বাজারদরের রেশ টানতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠকগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। যেভাবেই হোক, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী ও আমলাদের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে তার কোনও ফল ফলেনি। এই বৈঠকে আলু নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়সীমা এবং নতুন আলু ও প্রয়োজনে অভাবী বিক্রি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।