নয়াদিল্লি: প্রদেশ যুব কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন বর্ধমানের আজাহার মল্লিক৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রার্থী শাহিনা জাভেদকে প্রায় ৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন আজাহার৷ ফলপ্রকাশের পরই কংগ্রেসের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি দলের অন্দরে ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে অধীর চৌধুরীর রাশ?
এবার যুব কংগ্রেসের পদাধিকারী নির্বাচন হয় অনলাইনে৷ জুন মাসে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শনিবার সেই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সভাপতি পদে আজাহার মল্লিক পেয়েছেন ৩৯,১২১ ভোট, ওদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রার্থী শাহিনা জাভেদ পেয়েছেন ৩১,১৯২টি ভোট৷ নতুন সভাপতি আজাহার মল্লিক দলে সোমেন মিত্রের অনুগামীদের ঘনিষ্ঠ বলেই চিহ্নিত৷
আরও পড়ুন: Congress G23: কংগ্রেসের জি ২৩ গোষ্ঠী কি বিলুপ্তির পথে হাঁটবে?
ধারাবাহিকভাবেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আক্রান্ত প্রদেশ কংগ্রেস৷ যুব কংগ্রেসও এই কোন্দলের বাইরে নয়৷ অতীতে যুব কংগ্রেস নির্বাচন ঘিরে একাধিকবার গোলমাল হয়েছে৷ হিংসা রুখতেই এ বছর এবারে যুব কংগ্রেস নির্বাচন হয় অনলাইনে। জুন মাসে ভোটগ্রহণ হলেও ফলপ্রকাশ স্থগিত ছিল। শেষপর্যন্ত শনিবার ওই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যুব কংগ্রেসের এই নির্বাচন চলাকালীন বারবার অভিযোগ ওঠে শাহিনাকে জেতাতে নানা ধরনের চেষ্টা করেছেন অধীর- অনুগামীরা। অভিযোগ ওঠে ভোটার তালিকায় হাজার হাজার ভুয়ো নাম নিয়েও৷ নানা কারচুপির অভিযোগও তোলে শাহিনার বিরুদ্ধ পক্ষ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতার বক্তব্য, নানা পথে হেঁটেও নিজের অনুগামী শাহিনাকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছেন অধীর চৌধুরী৷ কংগ্রেস অন্দরের খবর, এই ফলের পর প্রদেশ সভাপতি পদে মুখবদলের দাবি আরও জোরালো হবে৷