কোভিড-১৯ অতিমারির সময় গোটা বিশ্ব জুড়ে মন্দায় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যার পরিনতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তৈরি হয় অর্থনৈতিক সংকট। চলতি বছরে কিছুটা হলেও পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়। কিন্তু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রায় অধিকাংশ দেশে জ্বালানি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে আগামী বছরের শুরু থেকেই ফের ঘনিয়ে আসতে পারে মন্দার কালো মেঘ। আর ঘটনাচক্রে ভারতও সেই সংকটের বাইরে নয়।
অতিমারির পরিস্থিতি না তৈরি হলে ২০১৬ সালের পর থেকে গোটা বিশ্বে সামগ্রিক উৎপাদন অন্তত ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। কিন্তু ক্রমাগত নানা আঘাতের জেরে সে বৃদ্ধির আনুমানিক পরিমাণ আপাতত কমে ১৭ শতাংশের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী সংকটের কারণে আর্থিক বৃদ্ধির হার করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে।
তামাম দুনিয়ার মোট আয় ধাক্কা খেয়ে কমে গিয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। অঙ্কের বিচারে যার পরিমাণ প্রায় ১৭ লক্ষ কোটি। বিশ্বের এই সামগ্রিক উৎপাদনের পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ভারতের মত দেশগুলির ভূমিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জের বানিজ্য এবং উন্নয়ন বিষয়ক একটি বিশেষ রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান আগামী ২০২৩ সালে যে মন্দা আসছে তার মধ্যে ভারতের অবদান ৭.৮ শতাংশ, আর রাশিয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ কমতে পারে ১২ শতাংশেরও বেশি। ব্রিটেনে উৎপাদন কমছে প্রায় ৬.৮ শতাংশ আর গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ওই মন্দার প্রভাব পড়ছে মোট উৎপাদনের ৫.১ শতাংশ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের একট রিপোর্ট জানাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সুদের হার বাড়াচ্ছে বহ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আবার আইএমএফও আশঙ্কা করছে সামনের বছর বড় মাপের মন্দা আসছে গোটা বিশ্বে।