তিউনিশিয়া–১ ফ্রান্স–০
(ওহাবি খাজরি)
আত্মবিশ্বাস ভাল। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভাল নয়। সেই ব্যাপারটা বুধসন্ধ্যায় খুব ভাল করে বুঝলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়র দেঁশ। বিশ্ব কাপের প্রথম দুটো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং ডেনমার্ককে হারিয়ে ফ্রান্স ইতিমধ্যেই প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে চলে গিয়েছিল। তাই ডি গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফরাসি কোচ দেশঁ তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের দেখে নিতে চেয়ে প্রথম একাদশের নয়জনকেই বসিয়ে দিলেন। ফ্রান্স খেলছে, অথচ হুগো লরিস, কিলিয়ান এমবাপে, আঁতোয়া গ্রিজম্যান, অলিভার জিরুরা বসে রয়েছেন ডাগ আউটে, এই দৃশ্য দেখতে হল। প্রথম একাদশে শুধু রাফায়েল ভারানে এবং ইব্রাহিম কোনাতে। এবং এটা করতে গিয়ে ফ্রান্স ৫৮ মিনিটে গোল খেয়ে গেল। গোল করলেন যিনি সেই ৩১ বছর বয়সী ওহাবি খাজরি আবার ফ্রান্সের লিগা ওয়ানেই খেলেন। তাঁর জন্ম ফ্রান্সে। তাঁর পরিবার তিউনিশিয়ার লোক। সেই সুবাদে তিনি ফ্রান্স এবং তিউনিশিয়া–দুই দেশেরই নাগরিক। একক দক্ষতায় গোল করলেন খাজরি।
গোলটা খাওয়ার পর দেশঁর বোধগম্য হল যে তিনি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। শেষ দিকে তাই নামালেন এমবাপে, গ্রিজম্যানদের। এবং অতিরিক্ত সময়ে ফ্রান্স গোলটা শোধও দিল। গোল করলেন গ্রিজম্যান। কিন্তু ভার জানিয়ে দিল গোল করার সময় গ্রিজম্যান অফ সাইডে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাই ফ্রান্সকে হারতে হল। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্ব কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স শেষ হেরেছিল। বিশ্ব কাপে সেটাই তাদের শেষ হার ছিল। তার পর তো ২০১৮ সালে অপরাজিত থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। এবার গ্রুপের ম্যাচেই তাদের হার। তবে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্রিকোয়ার্টার ফাইনালেই গেল। এখন এই হারের প্রভাব তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে পড়বে কি না তাই এখন দেখার। তবে ফ্রান্সকে হারিয়েও কোনও লাভ হল না তিউনিশিয়ার। এই গ্রুপে তারা হল তিন নম্বর। দুই নম্বর হয়ে নক আউটে গেল অস্ট্রেলিয়া। তারা এদিন ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ডেনমার্ককে।