নিউইয়র্ক:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) সরকারি কোষাগার (Government Treasury) প্রায় খালি (Empty)। ঋণের (Debt) ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি সে দেশের সংসদে। রাষ্ট্রপতি বাইডেন আবার জানালেন, বিরোধী পক্ষের প্রস্তাবে সহমত নন্ তিনি। নতুন ঋণ না পেলে পয়লা জুন থেকেই থমকে যাবে সরকারি ব্যয়। সে দেশে এমন অবস্থা সত্যিই এলে ভারত (India) সহ সারা বিশ্বে (World) দেখা দিতে পারে অভূতপূর্ব আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকট।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি মার্কিন সরকার তাদের ঋণের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। বাইডেন সরকার (Biden government) নতুন ঋণ নিতে চেয়ে সে দেশের সংসদের কাছে প্রস্তাব দেয়। সংসদ ঋণের ঊধ্বসীমা বাড়াতে রাজি হলেও চাপায় নানা শর্ত। শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণখাতে খরচ কমানোর মত অপ্রিয় বিষয়ও। এই শর্তে রাজি হচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি বাইডেন। এ নিয়ে কয়েকমাস ধরেই চলছে অচলাবস্থা। এদিকে বিশ্বজুড়ে সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টায় ইউক্রেন সহ নানা রণাঙ্গনে বিপুল খরচ করছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন দেশের সংসদের দু’টি কক্ষ, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভস এবং সেনেট। সেনেটে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, কিন্তু হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভস-এ রিপাব্লিকানদের মেজরিটি। রাষ্ট্রপতি বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক দলভুক্ত, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন রিপাব্লিকান। দলীয় বেড়া ভেঙেও কয়েকজন সাংসদ অন্যরকম মত প্রকাশ করছেন। সে দেশের বিরোধীদের সর্বশেষ প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়, জানিয়ে দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তবে ব্যয় খানিকটা কমাতে রাজি, ইঙ্গিত বাইডেনের। সংকট কেটে যাবে, আশাবাদী রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: Firecracker | Arrested | মহেশতলা বিস্ফোরণের তদন্তে ৩৭০০০ কিলো বাজি উদ্ধার, গ্রেফতার ৩৪
মার্কিন ভাঁড়ার খালি হলে সে দেশের বিনিয়োগকারীরা টাকা খরচে লাগাম টানবে। অবধারিত ভাবে মার্কিন অর্থনীতি মন্দা ও সংকটের কবলে চলে যাবে। আজকের দিনে বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থায় ভারত সহ সারা দুনিয়াতেই আছড়ে পড়বে সে সংকটের ঢেউ। সংকট কাটা বা না কাটার সময়সীমা আর দিন দশেক।