উজ্জ্বল ত্বকের সপ্ন দেখেন সকলেই কিন্তু বর্তমান যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে গিয়ে অধিকাংশের কাছেই এই স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। এদিকে আধুনিক জীবনযাপন, পরিবেশ দূষণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন সব ধকল সহ্য করতে করতে ক্রমশ জৌলুসবিহিন ও প্রানহীন হয়ে পড়ে আমাদের ত্বক। এই সময় কম সময়ে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে আমরা অনেকেই নানা রকম সৌন্দর্য্য সামগ্রীর শরণাপন্ন হই ঠিকই কিন্তু এতে থাকা কড়া রাসায়নিকের কারনে অনেক সময়ে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ।
তাই বাজার চলতি সামগ্রীর বদলে বরং ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন এই সব ভেষজ উদ্ভিদ। এগুলো ত্বকের হারানো জেল্লা ফেরানোর পাশাপাশি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর করে তোলে।
নীম (Neem)
(ছবি সৌ:Unsplash)
নীমের অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টিফাঙ্গাল কার্যকারিতা রয়েছে। অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবেও দারণ কাজের নীম। ত্বকের নানা সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশ, ফোসকা বা চুলকানি সারিয়ে তুলতে নীমের জবাব নেই।
ক্যামোমাইল (Chamomile)
(ছবি সৌ:Unsplash)
ক্যামোমাইলে অ্যালফা- বিসাবোলোল (alpha- bisabolol) বলে একটি বিশেষ পদার্থ পাওয়া যায়। এই উপাদান চামড়া কুচকে যাওয়া (wrinkles) থেকে আটকায়। পাশাপাশি ত্বকের জ্বালাভাব এবং ব্রণর সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি করে। ক্যামোমাইলের চা করে খেতে পারেন আবার চাইলে ফেস ওয়াশ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্যামোমাইল সবার ত্বকে সহ্য হয়না। তাই ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করে নিন।
পিপারমিন্ট (Peppermint)
(ছবি সৌ:Unsplash)
পিপারমিন্ট বা পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি(Omega 3) ফ্যাটি অ্যাসিড (fatty acids)ও ভিটিমিন এ(Vitamin A) ও ভিটামিন সি(Vitamin C) রয়েছে। এগুলি জৌলুসহীন ত্বকে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে এবং বাড়তি তেল নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। পুদিনায় মেন্থল (menthol) থাকায় এর একটা কুলিং এফেক্ট আছে। এর ফলে পুদিনা ত্বকের জ্বালা বা যন্ত্রণা থাকলে তা কমিয়ে ত্বককে আরাম দেয়।
হর্সটেল বা স্নেক গ্রাস (Horsetail or Snake Grass)
(ছবি সৌ:Unsplash)
এই হর্সটেলে প্রচুর পরিমানে সিলিকা(silica) রয়েছে। এই সিলিকা ত্বকের তারুণ্য ও ওজ্জ্বল্য ধরে রাখে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। এই সব কার্যকারিতার ফলে এই হর্সটেল চট করে ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না।
পার্সলে (Parsley)
(ছবি সৌ:Unsplash)
এই বিশেষ ধরনের লতা গাছটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এটা অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রিত করে, ত্বকে ইনফ্লেমেশন থাকলে তা কম করে এবং স্কিন ডিসকালারেশনের মত সমস্যার প্রতিরোধ করে।
ক্যালেনডুলা (Calendula)
(ছবি সৌ:Unsplash)
ত্বকে জ্বালা কিংবা ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ ত্বকের নানা সমস্যায় ক্যালেনডুলা ভীষণ কাজের। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। তাই র্যাশ থেকে শুরু করে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা যেমন ডার্মাটাইটিস, একজিমা, সোরিয়োসিস, ত্বকে বয়সের ছাপ, স্ট্রেচ মার্কস ও ত্বকে কড়া সারিয়ে তুলতে ভীষণ কার্যকরী এই ক্যালেনডুলা
অ্যালোভেরা (Aloevera)
(ছবি সৌ:Unsplash)
অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। এছাড়াও এতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন ত্বকের যে কোনও সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে।
(ছবি সৌ:Unsplash)