নয়াদিল্লি: কৃষকদের এক বছরের আন্দোলনের জেরে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার পর কৃষকদের দাবি মতো ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে কেন্দ্র। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কৃষকরা যে দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন, সেই একই দাবি নিয়ে (Narendra Modi) একসময় সোচ্চার হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
কংগ্রেস আমল। সেই সময় গুজরাত বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি কর্মীরা কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নেমেছিলেন। আন্দোলনের মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সরকার আন্দোলন দমাবার জন্য পুলিশকে কাজে লাগিয়েছিল। সেদিন গুজরাতের নানা প্রান্তে প্রায় হাজার খানেক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
কী দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল বিজেপি? গেরুয়া শিবিরের মূল দাবি ছিল- শস্যের বিমার টাকা প্রদান, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু, চাল এবং চিনির উপর থেকে লেভি প্রত্যাহার এবং পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তিন কৃষি আইন চালু করতেই আন্দোলন শুরু করে কৃষকরা। বিভিন্ন দাবিদাওয়ার মধ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত দাবিও ছিল। অর্থাৎ, দাবি সেই একই।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে বিজেপির ধরনা মঞ্চ গোবরজলে শুদ্ধ করল তৃণমূল
বিজেপির সেই ‘রাস্তা রোকো’ আন্দোলনের পর গুজরাত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য ছিল, আহমেদাবাদের মেয়র জয়েন্দ্র পটেলের নেতৃত্বে ২০০-র বেশি কর্মী সমর্থক জাতীয় সড়কে অবরোধ করেছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই গ্রেফতার করা হয়।
মোদির আরও একটি আন্দোলনের কথাও বলতে হয়। ১৯৭৩। প্রধানমন্ত্রীর কুড়ি-বাইশ বয়স। তরুণ তুর্কি। ১৯৭৩ সালে গুজরাতের ‘নবনির্মাণ আন্দোলন’ গণআন্দোলনের চেহারা নেয়। ১৯৭৪, ২৫ জানুয়ারি গুজরাত বনধের ডাক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ার টলিয়ে দেয় গুজরাত। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মুখ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বই সেই আন্দোলন গণআন্দোলনের চেহারা নেয়।