দেরাদুন: উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand Govt) গুঁড়িয়ে দিল ৩৩০টি ‘বেআইনি’ মাজার (Illegal Mazars) (সমাধি)। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে একটি হুইপ সরকার। প্রাশাসনের দাবি, ওই মাজারগুলির অধিকাংশই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গত ৯০ দিনে প্রশাসন ৩৩০টিরও বেশি মাজার ভেঙে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামী (Pushkar Singh Dhami) স্পষ্ট করে জানিয়ে দিযেছে, দেবভূমিতে দখলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। জমি জিহাদের ষড়ষন্ত্রকে দেবভূমিতে বরদাস্ত করা হবে না। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে।
জানা যায়, উত্তরাখণ্ড সরকার, এমন ১৪০০ টি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে, যেখানে অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে ধর্মীয় স্থান। সব জায়গাতেও একই ভাবে বুলডোজার চালানো হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে অবৈধ মাজারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বনাঞ্চলে অবৈধ ধর্মীয় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একটি ‘মেগা ক্লিন আপ’ অভিযান হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। করবেট টাইগার রিজার্ভ প্রশাসন গভীর বনের ভিতরে অবস্থিত নয়টি মাজার ভেঙে দিয়েছে। মাজার ভাঙার নিয়ে করবেট টাইগার রিজার্ভের পরিচালক ধীরাজ হলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। এক সপ্তাহ আগে আমরা মাজারের সঙ্গে জড়িতদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ সেই নোটিসের জবাব না দেওয়ায় ফলস্বরূপ এই অভিযান চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: IndiGo Flight | মাঝ আকাশে বিমানসেবিকার সঙ্গে অভব্য আচরণ, গ্রেফতার যাত্রী
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কার্যাকলাপে বাড়বাড়ি নিয়ে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দারা। ধর্মস্থান। গত তিন মাসে রাজ্য জুড়ে ৩২৫টিরও বেশি মাজার ভেঙে ফেলা হয়েছে। একই ধরনের প্রক্রিয়ায় প্রায় ৯১ হেক্টর বনভূমি মুক্ত করা হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের বুলডোজার শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress)। তাদের বক্তব্য, ১৯৮০ সাল বা তার আগে তৈরি মাজারগুলিকে বৈধতা দেওয়া উচিত ছিল। যদিও বিরোধীদের যুক্তি মানতে নারাজ সরকার।
উল্লেখ্য, এর আগে হরিদ্বার কোতোয়ালি এলাকার রঘুনাথ মলের সামনে সেচ দফতরের জমিতে নির্মিত মাজার উচ্ছেদ করেছে হরিদ্বার জেলা প্রশাসন। সেচ দফতরের জমিতে বেআইনিভাবে মাজার তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। গোটা জেলায় সরকারি সম্পত্তিতে যা কিছু দখল করা হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অপসারণ করা হচ্ছে।