নয়াদিল্লি: শুক্রবার সারা রাতে হামাসের (Hamas) সদর দফতরে (Head Quarter) হামলা চালানো হয়েছে। তাতে হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানের (Air Force Chief) মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে ইজরায়েল (Israel)। রাতে গাজায় বোমা ফেলে ইজরায়েল। এরপর ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়। হামাস যেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে সেটিই তাদের লক্ষ্য ছিল। শনিবার সকালে ইজরায়েল জানায় হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধান আবু মুরাদ (Abu Murad) নিহত হয়েছে। তবে এই নিয়ে প্যালেস্তাইনের যোদ্ধারা কোনও বিবৃতি দেয়নি। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইজরায়েলে হামাস বাহিনীর আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন আবু মুরাদ। হামাসের সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে ১৩০০ জনকে হত্যা করে। তারপরেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। আগে ইজরায়েল সেনা মুখপাত্র বলেছিলেন, প্রায় ৩ লক্ষ জওয়ান গাজা সীমান্তে চলে গিয়েছে। তাদের দাবি, এই যুদ্ধের পর হামাসের আর কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকবে না। ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকায় ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে হামাসের অতর্কিত হামলায় আরব দুনিয়ায় ব্যাপক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল যেতে পারে ভারতীয় রণতরী
বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে পৌঁছন মার্কিন (US) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি জানিয়েছিলেন, আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট এবং সহজ। আমরা ইজরায়েলের পিছনে আছি। মার্কিন সমর বহরও পশ্চিম এশীয় এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সিরিয়া, লেবানন কিংবা ইরানের দিক থেকে হামাসকে সরঞ্জাম সরবরাহ অথবা ইজরায়েলে হামলা ঠেকাতে সমরসজ্জা করেছে আমেরিকা। অন্যদিকে, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনকে সবরকমের সাহায্য বন্ধ করেছে জার্মানি।
আরও খবর দেখুন