নয়াদিল্লি: সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী রবিবারই তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ইতিমধ্যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার দিল্লিতে NDA-র দলগুলির প্রধানরা আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার বলেন, কোনও সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠন করা উচিত। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৭ জুন এনডিএর জোট শরিকরা ফের বৈঠকে বসবেন। সেখানেই নরেন্দ্র মোদিকে সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে নির্বাচন করা হবে। আগামী ৯ জুন তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নিতে পারেন। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল (Nepal PM Pushpa Kamal Dahal ) এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে (Sri Lanka President Ranil Wickremesinghe )।
৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বুধবার হাসিনাকেও ফোন করে মোদি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বিক্রমসিঙ্ঘেকে মোদি ফোন করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুকান্ত, শুভেন্দুকে দিল্লিতে তলব
এদিকে শপথ গ্রহণের আগে বেশ চাপে রয়েছেন মোদি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলেনি বিজেপির। ২৪০ এ থেমেছে বিজেপির বিজয় রথ। সরকার গড়ার জন্য শরিক দলগুলির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপিকে।এনডিএর দুই শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডু (Chandrababu Naidu) ও নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন। সরকার গঠন করার আগেই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছেন নায়ডু-নীতীশ। সূত্রের খবর, স্পিকার পদের পাশাপাশি অর্থ, সড়ক ও পরিবহণ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, গ্রামোন্নয়ন ও নগরোন্নয়ন ৮টি মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের দাবি রেল, জলশক্তি, সড়ক ও পরিবহণ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এলজেপির মতো ছোট শরিকরাও মন্ত্রিত্বের দাবিদার। সব মিলিয়ে গত দশ বছর পর এই প্রথম শরিকদের চাপের মধ্যে থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে।
অন্য খবর দেখুন