কলকাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে ‘অশনি’। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আগামী ১২ ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এটি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা উপকূলের দিকে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোতে থাকবে।
উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওডিশা উপকূলের কাছাকাছি এসে এটি অভিমুখ পরিবর্তন করবে। উত্তর-পশ্চিম দিক ছেড়ে এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। ক্রমশ এটি প্রবেশ করবে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। ওডিশা উপকূল বরাবর সমান্তরালভাবে এটি সমুদ্রে এগোতে থাকবে। অভিমুখ পরিবর্তন করার পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
অশনির জেরে ওডিশা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। বুধ ও বৃহস্পতি, এই দু’দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: অশনির জেরে মেদিনীপুর সফর পিছোলেন মমতা
সোমবার সন্ধের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ মে থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। একইভাবে দিঘা, মন্দারমনি সমুদ্রতটে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকছে। সমুদ্রতটে সমস্ত ধরনের বিনোদনমূলক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। বিশাখাপত্তনপম থেকে ৯৪০ কিলোমিটার এবং পুরী থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অশনি।