কলকাতা: পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর ইপিএফ-তে সুদ কমানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মমতার দাবি, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে৷ তার জনবিরোধী নীতি,শ্রমিক-বিরোধী নীতি প্রকাশ পেয়েছে৷ কৃষক, শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তদের স্বার্থ দেখার পরিবর্তে এই সরকার বৃহৎ পুঁজির স্বার্থ সমর্থন করে।’
মমতা আরও বলেন,‘‘উত্তরপ্রদেশের ভোটে জয়লাভের পরই গিফট কার্ড নিয়ে এল বিজেপি সরকার! গত চার দশকে কর্মচারীদের আমানত তহবিলে সুদের হার সবচেয়ে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।’’
After the vote victory in UP, BJP government comes out with its gift card immediately! It at once unmasks itself by proposing to slash the interest rate on Employees' Provident Fund deposits to a four- decade low nadir. (1/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 13, 2022
কেন্দ্রীয় সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে ইপিএফের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সুদের হার পর্যালোচনা করে। ২০১২-১৩ সাল থেকেই ধাপে ধাপে অনেকবার কমেছে ইপিএফের সুদের হার৷ শুধুমাত্র ২০১৫-১৬ সালে সুদ কিছুটা বেশি ছিল, ৮.৮০ শতাংশ। তারপর থেকে ধাপে ধাপে একাধিক বার এই সুদের হার কমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। যা সাত বছরে সর্বনিম্ন ছিল। এবারে আরও কমল এই সুদ। ফলে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের৷
শনিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিএফের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সিবিডিটি। সিবিডিটি-র এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রকের সিলমোহর পড়লেই চালু হয়ে যাবে পিএফে নয়া সুদের হার। সুদের হার কমায় অনেকটাই সমস্যায় পড়বেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা গচ্ছিত রাখা প্রায় ৬ কোটি চাকুরিজীবী।
আরও পড়ুন: Malda TMC: সোশাল মিডিয়ায় বন্দুক হাতে ছবি পোস্ট মালদহের তৃণমূল নেতার, ব্যাপক শোরগোল
২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সুদের হার যথাক্রমে ৮.৭৫ শতাংশ, ৮.৭৫ শতাংশ, ৮.৮০ শতাংশ, ৮.৬৫ শতাংশ, ৮.৫৫ শতাংশ, ৮.৫০ শতাংশ, ৮.৫০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে সবচেয়ে কম ছিল ইপিএফও-র সুদের হার। সেই সময় সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরে সেই রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।