চেয়ারম্যান (Chairman) পদ হারিয়েছেন, এবার স্কুলের শিক্ষকতা থেকে শিশির মণ্ডলকে (Shishir Mondal) বহিষ্কারের দাবি উঠল। তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা। বুধবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান এবং ডেপুটেশন (Deputation) কর্মসূচি পালন করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পল্লবকুমার মণ্ডল বলেন, ডেপুটেশন জমা পড়েছে যখন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তো জানাতেই হবে।
সময়টা খারাপ যাচ্ছে তৃণমূল (TMC) নেতা শিশির মণ্ডলের। শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে অশ্লীল কথাবার্তা বলা এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। ভিডিয়ো নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। খবর যায় বর্ধমান (Burdwan) জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এ নিয়ে সে সময় তিনি বলেন, খবর সত্যি হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Nitin Gadkari Praises Manmohan Singh: মনমোহনের প্রশংসা করলেন নীতিন গড়করি!
জেলা নেতৃত্ব ভিডিয়ো পাঠান শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই দল শিশির মণ্ডলকে ইস্তফা দিতে বলে। সেই নির্দেশ মেনে কাটোয়ার মহকুমা শাসকের হাতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন শিশির। ইস্তফা দিলেও তৃণমূল থেকে সরছেন না, জানিয়ে দেন তিনি। শিশির বলেন, ছোটবেলা থেকে দল করছি। দলের সৈনিক ছিলাম, আছি, থাকব। দল তাঁকে বহিষ্কার না করলেও মুখ পুড়েছে শিশির মণ্ডলের। প্রথমে চেয়ারম্যান পদ হারালেন, এবার স্কুল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে।
প্রসঙ্গত, শিশির মণ্ডলের অপসারণের পর দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান পদে এসেছেন প্রদীপকুমার রায়। ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সাল থেকে তিনি বামফ্রন্টের (Left Front) হয়ে রাজনীতি করছিলেন প্রদীপ। ২০১৮ সালে কাটোয়ার (Katwa) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগদান করেন। এরপরে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে কাউন্সিলর হন দাঁইহাটে পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডে। দাঁইহাট পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন প্রদীপ।