বিষ্ণুপুর: তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে বন্যপ্রাণীদের (Wildlife) সুস্থ রাখতে জল, বিশেষ লবণ ও ছোলা দিচ্ছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur )পাঞ্চেত বনবিভাগ। দহন জালায় জ্বলছে গোটা রাজ্য (West Bengal)। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সঙ্গে তাপপ্রবাহের (Heat Wave) জেরে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। ইতিমধ্যে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রার (Temperature) পারদ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে শুকিয়ে গিয়েছে পুকুর ও জলাশয়। স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গলের জন্তুদের পানীয় জলের সংকটও তৈরি হয়েছে। একদিকে জলসংকট অন্যদিকে প্রবল তাপ এই দুইয়ের জেরে জঙ্গলের জন্তুদেরও অবস্থাও খুবই কাহিল। সেকথা মাথায় রেখেই বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বনবিভাগের তরফ থেকে জয়পুরের জঙ্গলে থাকা বন্য জীবজন্তুদের জন্য জল, বিশেষ লবণ ও ছোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জয়পুরের ওই জঙ্গলে হরিণ, খরগোশ, গন্ধগোকুল, প্যাঙ্গোলিন, শিয়াল সহ অনেক জীবজন্তু রয়েছে। সেখানে এই গরমে বন দফতর ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে জন্তুজানোয়ারদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। জঙ্গলের জীবজন্তুদের জল, লবণ এবং ছোলা দেওয়া হচ্ছে সকাল-সন্ধ্যায়।
আরও পড়ুন:ChatGPT | Fresh Water | মাথা ঠান্ডা রাখতে ৫০টি প্রশ্ন পিছু ৫০০ এমএল জল খায় চ্যাটজিপিটি
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু-পাখিরাও। তাদের খাঁচা বা এনক্লোজারে জলের জোগান বাড়ানোর জন্য এবার পুরসভাকে অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য বন দফতর। গরমে পশুপাখিদের স্বস্তি দিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে ধারাস্নানের। বাঘ-সিংহ বা ভালুক, শিপাঞ্জি, হাতিদের দুবেলা স্নান করানো হচ্ছে বলে চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর। পাখি এবং ও ছোট জীবজন্তুদের জন্য বেশি করে স্প্রিঙ্কলার আনা হয়েছে। তার মাধ্যমে তাদের স্নান করানো হচ্ছে।
এছাড়াও নিরামিষাশী পশুদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বাড়ানো হয়েছে তরমুজের মতো রসালো ফল এবং পিঁয়াজের পরিমাণ। ভালুককে বেশি করে টক দই আর বাবু-সহ চার শিম্পাঞ্জিকে ঘোলের সরবত খাওয়ানো হচ্ছে নিয়মিত। বাঘ-সিংহ, লেপার্ড ও জাগুয়ারের খাদ্য তালিকা থেকে মোষের মাংসের পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুরগির মাংস। বাঘের খাঁচার কাছে তো বটেই আশপাশেও বড় বড় পাত্র রাখা হয়েছে। সেগুলোতে জল ঢেলে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে বাথ টাব।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তারা যাতে সুস্থ থাকে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এদিন পর্যন্ত চিড়িয়াখানার কোনও জন্তুজানোয়ারের অসুস্থ হওয়ার খবর নেই। পশুপাখিদের নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। অসুস্থ হলেই পশু চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবেন।