কলকাতা: বইমেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে বিশ্বশান্তির ফেরিওয়ালা মমতা। যিনি বুঝিয়ে দিলেন, বাংলা কতটা শান্তির আশ্রয়স্থল, এই বাংলা কীভাবে বিশ্বকে শান্তির বার্তা দেয়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের উদ্যোগ নিক নয়াদিল্লি।
সোমবার ৪৫-তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। উদ্বোধন মঞ্চ থেকে দুই বাংলার মিলনের-সৌহার্দ্যের ছবিটা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, বাংলা কতটা অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত ওপার বাংলার সঙ্গে। মমতার কথায়, এই দুই বাংলার মেলবন্ধন-সম্পর্ক আজকের নয়, অনেকদিনের। আগামিদিন এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ধরা দিল বিশ্বশান্তির কথা, গুরুত্ব পেল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। প্রস্তাব দিলেন বিশ্বশান্তির পক্ষে থাকা ভারত যেন এই যুদ্ধ থামানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমি আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কেন্দ্রের বিদেশ নীতির সমর্থন করার কথা জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক পরিবেশে একটি রাজ্য যেভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকে, সেভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছি। বাংলা তথা ভারত বিশ্বশান্তির পক্ষে। গত দু-আড়াই বছর করোনা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। সেটাও তো একটা যুদ্ধ। আমরা আর যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
আরও পড়ুন: Ukraine Evacuations: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে চার মন্ত্রীকে দায়িত্ব মোদির
শান্তির বার্তা দেওয়া পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, সেন্ট্রাল পার্কের নতুন নাম করা হোক বইমেলা প্রাঙ্গণ। খুব শীঘ্রই মিলনমেলা প্রাঙ্গণ সংস্কারের কাজ শেষ হতে চলেছে। পরবর্তীতে সেখানেই সব মেলা হওয়ার কথা। কিন্তু এদিন মমতা বললেন, সেন্ট্রাল পার্কেই যেন আগামিদিনে বইমেলা আয়োজিত হয়। শুধু বইমেলা নয়, প্রয়োজনে অন্য মেলা যাতে এখানে করা যায়, তার ছাড়পত্রও দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
একই সঙ্গে সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলায় যেতে মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টা দেখার জন্য পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন তিনি। যতদিন বইমেলা চলবে, ততদিন অতিরিক্ত বাস চালানোর কথাও বলেছেন তিনি।