skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
Homeকলকাতানদিয়ায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, উদ্বেগ বাড়ছে জেলাজুড়ে

নদিয়ায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, উদ্বেগ বাড়ছে জেলাজুড়ে

Follow Us :

নদিয়া: ফের রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক জনের। এক মাসে এ নিয়ে মশাবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন, বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেই। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কিন্তু তবুও আক্রন্ত থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। এদিন ফের এক জনের মৃত্যুতে উদ্বেগ আরও বাড়ল বলে মনে করচে বিভিন্ন মহল। মৃত ওই ব্যক্তির নাম রতন কর্মকার। তিনি নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন রতন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি ডেঙ্গি পজিটিভ। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতরের তত্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত নদিয়াতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। মৃতের সংখ্যাও সেখানে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই জেলা-সহ অন্যান্য জায়গাতেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় যাতে খামতি না থাকে, তার জন্য সমস্ত দফতরকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

আরও পড়ুন: আজ থেকে গরম বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে, সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রশাসন সূত্রের খবর, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে এক দিকে দেড় হাজার কিলোমিটার খাল সংস্কার হয়েছে। অন্য দিকে, ১২৯টি পুরসভায় দু’সপ্তাহ অন্তর পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানোও শুরু হয়েছে। এবং এই অভিযানে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচি চালাতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। মৃত্যু বাড়ছে রাজ্যে, তা নিয়ে বিধানসভায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দল। ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার নবান্নে একদফা বৈঠকেও বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। জেলা প্রশাসনকেও ডেঙ্গি নিয়ে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একাধিক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ড্রোনের (Drone) সাহায্যে মশার বংশবিস্তারের জায়গা চিহ্নিত করা হবে। ১২ জুন থেকে যে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার (Survey) কাজ শুরু হয়েছে তা ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এছাড়া ভেক্টর নিয়ন্ত্রণের কাজ চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সব মিলিয়ে রাজ্যে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২২০ জন কর্মীকে ভেক্টর কন্ট্রোল অ্যাক্টিভিটিজে কাজে লাগানো হচ্ছে। লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ৭৫ লাখ মাছ দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ২ কোটি ২৫ লক্ষ মাছ দেওয়া হবে আগামী এক মাসে। বিনামূল্যে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হবে সরকারি ১৬০টি জায়গায়। ৯ হাজার ডাক্তার ও প্যারা মেডিক্যাল স্টাফকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু হচ্ছে। ডেঙ্গি রোগীদের ভর্তি নেওয়ার জন্য সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অগাস্ট মাস থেকে স্কুল ভিত্তিক প্রচারও চালানো হবে। দুদিনের বেশি জ্বর থাকলে ডেঙ্গি পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। সব জেলাশাসকদের বলা হয়েছে ডেঙ্গি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতে

RELATED ARTICLES

Most Popular