skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
HomeCurrent News‘অসন্তুষ্ট’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘দাদা-ভাইয়ের’ সম্পর্ক ঠিক করবেন রাজীব

‘অসন্তুষ্ট’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘দাদা-ভাইয়ের’ সম্পর্ক ঠিক করবেন রাজীব

Follow Us :

কলকাতা:  ‘‘কল্যাণদা’র সঙ্গে আমার দাদভাইয়ের সম্পর্ক৷ দেখা করলে রাগ মিটে যাবে৷’ তাঁর ঘরওয়াপসির ঘটনায় ক্ষুব্ধ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷

প্রায় ন’মাস পর রবিবার ঘরওয়াপসি হল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তারপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে৷ কিন্তু, রাজীবকে নিয়ে হুগলি শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কটাক্ষ’ অপ্রত্যাশিত ছিল সকলের কাছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই৷ কল্যাণবাবু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত’ দাবি করে দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তবে, দলীয় সিদ্ধান্ত যে মাথা পেতে মেনে নিতে বাধ্য তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷ রবিরার সুনীল গাঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতা আশ্রয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শ্রীরামপুর সাংসদ৷

এ বিষয়ে রবিবার সন্ধেয় কলকাতা টিভি ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল ছাড়ার আগে বহুবার কল্যাণদা আমাকে বুঝিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু, তারপরও আমি ভুূল করি৷ যে কারণেই কল্যাণদা আমার উপর রেগে রয়েছেন৷ আশাকরি, দেখা করলে রাগ মিটে যাবে৷ কল্যাণদা’র সঙ্গে আমার বহু দিনের  ‘দাদা-ভাইয়ের’ সম্পর্ক৷ তিনি রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে ফেলেছেন৷’

রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরলেন৷ তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়েন করিয়েছেন। আমাকে তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু মমতাদি নির্বাচনের মিটিংয়ের সময় ডোমজুড়ে বলেছিলেন যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩-৪টে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে। তার টাকার ট্র্যানজাকশন চলছিল দুবাইয়ে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্ব বলতে পারবেন।’’

আরও পড়ুন-মমতা ‘বেগম’কে শিবাজী মহারাজের জমিতে পা রাখতে দেওয়াই উচিত হবে না, হুঁশিয়ারি তেজস্বীর

এখানেই থামেননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আরও বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমিও এক জন দলের কর্মী। সাংসদ তো বটেই। তাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাটা মনে পড়ছে। ‘কেউ কথা রাখেনি’কবিতাটা মনে পড়ছে। আর তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা তো সবাইকে মেনে চলতে হবে। আমাকেও মেনে চলতে হবে। তবে আমি জানি না এরকম একটা টপ টু বটম করাপ্টেড এক জন লোক, সেই লোককে কেন জয়েন করানো হল। আমি জানি না তা।’’

আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee: বিপ্লব দেব এখন ‘বিগ ফ্লপ দেব’, কটাক্ষ অভিষেকের

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমুল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, একুশে বিজেপি ক্ষমতায় না আসার পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডোমজুড় কেন্দ্রে হেরে যান৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আগাগোড়া সরব ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই, এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ধরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে ফিরতেই ফুঁসে উঠলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular