তেল আভিভ ও বেইরুট: ইজরায়েলি (Israel) গোলাবর্ষণ না থামলে গাজায় (Gaza) বন্দি ইজরায়েলিদের খতম করার হুমকি দিল হামাস (Hamas) বাহিনী। ইজরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী হামাসের আচমকা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০। অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ইজরায়েলের বিমান হানায় ১৪৩ শিশু ও ১০৫ মহিলাসহ ৭০৪ জন প্যালেস্তিনীয় প্রাণ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জন নিহত হয়েছেন এই যুদ্ধে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু (Prime Minister Benjamin Netanyahu) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ (Israel-Hamas War) আমরা শুরু করিনি। তবে শেষ করে ছাড়ব।
হামাস জঙ্গি সরকারের সামরিক মুখপাত্র হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইজরায়েলের প্রতিটি বোমার জবাবে তারা একজন করে বন্দিহত্যা করবে। শুধু তাই নয়, এই হত্যাদৃশ্য প্রচার করা হবে। নেতানইয়াহু অবশ্য হামাসকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেছেন, যেভাবে সভ্যসমাজ আইসিসকে খতম করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেভাবে হামাসকে পরাজিত করতেও ইজরায়েলকে সমর্থনের ডাক দিয়েছেন তিনি।
ইজরায়েল এর মধ্যে গাজায় পানীয় জল, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ (Total Blocked) করে দিয়েছে। যুদ্ধের এই পরিস্থিতির মধ্যে ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা এবং অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছে। শোনা যাচ্ছে, প্যালেস্তাইনের (Palestine) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সম্ভবত এই পরিস্থিতিতে মস্কো যাচ্ছেন। মঙ্গলবারই আমেরিকা (US), ফ্রান্স (France), জার্মানি (Germany), ইতালি (Italy) এবং ব্রিটেন (UK) যৌথ বিবৃতিতে ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরী জাইনাব আব্বাসকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হলো কেন?
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের জঙ্গি হামলা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। কোনও অধিকার নেই। সকলের এই কাজের নিন্দা করা উচিত বলে আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই। আমরা ইজরায়েলের পিছনে আছি। রাশিয়া অবশ্য ইহুদি এবং প্যালেস্তিনীয়দের উপর হামলার নিন্দা করেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকা ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে ইজরায়েলের যুদ্ধে নাক গলাতে নিষেধ করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছেন, ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে আমেরিকার নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। তার জন্য এফবিআই নিরাপত্তাবিধি বদল করতে দ্বিধা করবে না।
দেখুন অন্য় খবর