সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা নিরুপা গঙ্গোপাধ্যায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি। রাতে জানা গেল, অক্সিজেন চালু থাকলেও তিনি স্থিতিশীল আছেন।
স্নেহাশিসের পর তাঁর মা:
সৌরভের পরিবারের মধ্যে তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম আক্রান্ত হন। মাস তিনেক আগে। মে মাসে সৌরভ-স্নেহাশিসের মা দুটো ভ্যাকসিন ডোজ নিয়ে রেখেছেন। তা সত্ত্বেও এত পরে নিরুপা দেবী আক্রান্ত হলেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে সর্দি কাশি ছিল। ডক্টরের পরামর্শে ছিলেন। সঙ্গে জ্বর শুরু হতেই, টেস্ট করা হয় সোমবার সকলে। রাতে রিপোর্ট মেলে , কোভিড পজিটিভ। মঙ্গলবার ভোরেই বাড়ি থেকে বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বীরেন রায় রোডের গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ি একান্নবর্তী পরিবার। ছোট কাকা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির কাজের লোক কয়েকদিন আগে কোভিড আক্রান্ত বলে জানা যায়। প্রথম দফায়, বাড়ির কাজের লোক , ড্রাইভার , সিকিউরিটি গার্ড – বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছিল। তারা সকলে সুস্থ।
সৌরভের মা, বরাবরই ঘরে থাকতে ভালোবাসেন। মোটেই নিয়ম করে বাইরে যান না। তা সত্ত্বেও তিনি দুটো ভ্যাকসিন ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্ত হয়ে পড়লেন।
এ এমন এক রোগ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়না। সোমবার বিকেল থেকে, বুকে সর্দি ভরা থাকায় শ্বাস কষ্ট হতে থাকে। রাতে রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার জন্য, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
সৌরভ ফোনে নিয়মিত খবর রাখছেন। এদিকে রোজ এখন টানা দাদাগিরির শুটিং চলছে সৌরভের। মা কোরোনা আক্রান্ত হতে তিনি কতোদিন বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকবেন – তা চিকিৎসকরা অবিলম্বে জানিয়ে দিয়েছেন। চূড়ান্ত সতর্কতা মেনে, পরিবারের সকলের আজ করোনা টেস্ট করা হয়েছে। কাল সকলের টেস্ট রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিলেন:
সৌরভের জন্মদিনে এই প্রথমবার রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালা বাড়িতে গিয়েছিলেন। গতমাসে সেইদিন সৌরভের মা-এর সঙ্গে নানান কথায় মেতে ছিলেন মমতা। মা চন্ডী আর কালী নিয়ে অনেক কথা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে গেলেও, এই খবর পেয়েই-সৌরভের সঙ্গে ফোন কথাও বলেন। খোঁজ নেন বিস্তারিত।
কলকাতায় কি তাহলে করোনার তৃতীয় প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে?-সৌরভের মা-এর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়াতেই, চিকিৎসক মহলে এটাই আলোচনার মূল বিষয় হয়ে ওঠে। ডবল ডোজ টিকা নেওয়ার পরও সৌরভের মা আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। এবং টিকা পর্ব মিটে গেছে তাঁর প্রায় আড়াই মাস আগে।
ফাইল চিত্র