পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলকোটে সোমবার রাত সাতটা নাগাদ লাখুরিয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস কে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনের জেল হেফাজত হয়েছে। এতদিন তদন্তের ভার পুলিশের হাতে থাকলেও আজ সিআইডিকে তদন্তভার তুলে দেয় বর্ধমান জেলা পুলিশ।
ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের সিআইডি দল ও পাঁচ জনের একটি ফরেনসিক টিম ওই গ্রামে পৌঁছেছেন। মোট ১০ জনের এই টিম শুক্রবার বেলা দু’টো নাগাদ মঙ্গলকোট থানার আইসির সঙ্গে রওনা দেয় শিউর গ্রামের দিকে। যেখানে অঞ্চল সভাপতি খুন হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে ফরেনসিকের দল পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে। শুক্রবার সিআইডির সঙ্গে আবার তদন্ত শুরু করেন ওই পাঁচ সদস্যের ফরেনসিক টিম। যে গাড়িতে চেপে অসীম দাস বাড়ির দিকে ফিরছিলেন সেই গাড়িটিও ভিডিওগ্রাফি করা হয়।
আরও পড়ুন : মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ধৃতদের জেল হেফাজত
বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল লাখুরিয়া তৃণমূলের সহ সভাপতি সাবুল শেখ এবং তৃণমূলকর্মী সামু শমকে। ওই দুজন অভিযুক্তর ফোনের কল লিস্টও দেখা হয়েছে। এমনকী খুনের সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিল কিনা সেটাও দেখা হয়েছে।
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিভিন্ন দিক থেকে ভিডিওগ্রাফি করা হয়। কীভাবে আততায়ীরা অসীম দাসকে গুলি করেছিল ,কোন জায়গায় গুলি করেছিল ক’টার সময় ঘটনা ঘটেছিল, প্রথম কে দেখেছিল, কারা নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতলে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রত্যেকটি জিনিস যাচাই করা হয়। একদিকে ভিডিওগ্রাফি অন্যদিকে অনেকের বক্তব্যও রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও সংগ্রহ করা হয়েছে বেশ কিছু নমুনা। এরপর সিআইডির ৫ সদস্য ও ফরেনসিকের ৫ সদস্যের এই দুই দলই মঙ্গলকোট থানায় এসে আলোচনায় বসেন।