শিলিগুড়ি : উত্তরে বৃষ্টি কমতেই পাহাড় ফিরছে নিজের ছন্দে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়া জনজীবনে আসছে গতি।
গত সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছিল প্রবল বৃষ্টিপাত। বাদ যায়নি সিকিমও। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধসের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। তবে, বৃষ্টি কমতেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। পাহাড় ফিরছে নিজের ছন্দে। সিকিমে শুরু হয়েছে তুষারপাত। শুক্রবার সিকিমের ইয়ুমথাংয়ের জিরো পয়েন্টে তুষারপাত হয়। সাদা চাদরে মুড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। পর্যটকরা এই তুষারপাতের আনন্দ পেতে জিরো পয়েন্টে ভিড় জমাচ্ছে।
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর পাহাড়ে এবার রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পর্যটকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও, প্রশাসনের তৎপরতায় সমস্ত রাস্তা খুলে যাওয়ায় তারা অনেকটাই নিশ্চিন্ত। বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের ভিড় দেখলেই বোঝা যায় তারা বিপর্যয়কে ভুলে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ নিতে ব্যস্ত।
শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বারবার ধস নামায় বন্ধ আছে যান চলাচল। সাময়িকভাবে রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য খুললেও তা আবার ধসের ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধসের জেরে বন্ধ হয়ে যায় কালিম্পং এবং সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ। পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা তাতে আগামী সোমবারের আগে এই রাস্তাতে যান চলাচলের কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সিকিম বা কালিম্পং যাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করছে। দার্জিলিংয়ের জোড়বাংলা হয়ে তিস্তা বাজার হয়ে সিকিম বা কালিম্পংয়ে যাওয়া যাচ্ছে আবার কালিঝোড়া পেরিয়ে সিটং দিয়ে তিস্তা বাজারে দিয়েও সিকিম বা কালিম্পংয়ে যাওয়া যাচ্ছে। অপর একটি রাস্তায় করোনেশন ব্রিজ পেরিয়ে গরুবাথান হয়ে কালিম্পং হয়ে তিস্তা বাজার হয়ে সিকিম যাওয়া যাচ্ছে।