কোচবিহার: রাজ্যের ১০৭টি পুরসভার সঙ্গে কোচবিহারের ২০টি ওয়ার্ডে ভোট (Coochbehar Municipal Election) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি৷ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) কোচবিহার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন৷ বুধবার তিনি জমা দেন মনোনয়নপত্র৷ কোচবিহারের সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয় নিয়ে তিনি ভীষণ আশাবাদী৷ সাংবাদিকদের কাছে এই হেভিওয়েট প্রার্থী বলেন, ‘২০টি ওয়ার্ড জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা উপহার দিতে চাই৷ তার জন্য সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি৷’
এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মদনমোহন মন্দির, মাহেশ্বরী এবং হনুমান মন্দিরে পুজো দেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তারপর সেখান থেকে হুড খোলা জিপে চড়ে বর্ণাঢ্য মিছিল করে তিনি পৌঁছন কোচবিহার সদরে মহকুমা শাসকের দফতরে৷ সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল প্রার্থী৷
তারপর বেরিয়ে এসে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ আশাবাদী৷ ২০টি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেবে মানুষ৷ তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, উন্নয়নের সঙ্গে আছেন৷’ কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই হেরিটেজ শহরের উন্নয়নে কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷ তৃণমূল প্রার্থী জানান, কোচবিহারের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি হয়েছে৷ লকডাউন-করোনার জন্য কাজগুলো ঠিক সময়ে শুরু করা যায়নি৷ এখন করোনার প্রকোপ কমেছে৷ কোচবিহার শহরকে দেশের মধ্যে সবথেকে ঐতিহাসিক এবং উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি৷
আরও পড়ুন: West Bengal Civic Polls: বিনা লড়াইয়ে বজবজ পুরসভা দখলের পথে তৃণমূল
তাঁর প্রতিশ্রুতি, ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল এবং রাস্তাঘাটের যা সমস্যা রয়েছে সব ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে৷ প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিক সম্মেলন করে তাদের চাহিদা মতো আগামিদিনে এই পুরসভায় কাজ করা হবে৷ কিছুটা খেদের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা কোচবিহারের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু দিতে পারিনি৷ তিনি প্রচুর দিয়েছেন৷ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব দিয়েছেন৷ আমরা ২০টি ওয়ার্ড জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিতে চাই৷’ টিকিট না পেয়ে অনেক ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীরা নির্দল হিসেবে লড়ছেন৷ তাঁদের উদ্দেশে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘তাঁরা নিজেদের দায়িত্বে দাঁড়িয়েছেন৷ তাঁদের পাশে দল থাকবে না৷’