কেতুগ্রাম: ভালোবেসে বিয়ে হয়েছিল। শেষে যে এমন পরিণতি হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি রেণু। স্বামী কাঁচি দিয়ে হাত কেটে দিয়েছেন। কারণ, স্ত্রী যদি সরকারি চাকরি পেয়ে তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। শুধুমাত্র এই সন্দেহেই শনিবার রাতে এমন ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রেণুর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। কিন্তু তাঁকে ১৫ থেকে ২০ দিন থাকতে হবে হাসপাতালেই। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া সে কিছুই করতে পারবেন না। তবে তাঁর কব্জি আর জোড়া লাগানো যাবে না। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আগে রেণু সুস্থ হোক। তারপর চাকরির কথা ভাবা যাবে। তবে রেণু চায় তাঁর চকরি যেন সে করতে পারে।
ডান হাতের কব্জি হারিয়েও রেণু চান সেবিকা হিসেবে মানুষের সেবা করতে। হাসপাতালে নার্সের সরকারি চাকরিটা যেন তাঁর না যায়। প্রয়োজনে আরও পড়াশুনো করবেন। হাসপাতালে শুয়ে এমনই কাতর আবেদন রেণুর। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রবিবার রাতে বরের ‘শাসনের’ এমন বর্ণনাই দিয়েছেন রেণু। এরপরই তাঁর প্রার্থনা, সরিফুলের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
আরও পড়ুন: TMC Deganga: দেগঙ্গায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা, আহত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ৩
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সোমবার ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবিকে কেতুগ্রামের চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। নার্সের কব্জি কাটার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে। মঙ্গলবার তাদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়ে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা তোলা হয়। তবে এখনও মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী সরিফুল শেখ এখনও অধরাই।