কেতুগ্রাম: কেতুগ্রামে রেণু খাতুনের কবজি-কাণ্ডে নয়া তথ্য পুলিসের হাতে। ঘটনার দিন রেণুর স্বামী শরিফুলের সঙ্গে যে দুই বন্ধু তাদের বাড়িতে এসেছিল, তারা আসলে সুপারি কিলার বলে পুলিস জানতে পেরেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে ওই দুজনকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল শরিফুল।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই দুজনের সঙ্গেই রাতে খাওয়া-দাওয়া সারে শরিফুল। রেণু ঘুমিয়ে পড়লেও শরিফুলরা তিনজন অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছিল। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর একজন রেণুর দুই পা চেপে ধরে। আর একজন তাঁর দুই হাত চেপে মুখে বালিস ঠেসে ধরে, যাতে তিনি চিৎকার করতে না পারে। তাঁর স্বামী শরিফুল টিন কাটার কাঁচি দিয়ে রেণুর ডান হাতের কবজি কেটে দেয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: … তোমাদের লোক, ধামসা মাদলের তালে কোমর দোলালেন মমতা
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল তিনজন। তদন্তে নেমে কেতুগ্রাম থানার পুলিস মঙ্গলবার সকালে রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম সালার সীমান্ত এলাকার হলদি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। বুধবার ধৃত শরিফুলকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন চেয়েছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস।