দুর্গাপুর : উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গেছিলেন প্রৌঢ় দম্পতি। কিন্তু একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দম্পতি সুব্রত ভট্টাচার্য (৬১) এবং রুনা ভট্টাচার্যর(৫২)। শনিবার তাঁদের দেহ দুর্গাপুরে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডে খোঁজ মিলল বাঁকুড়ার ৭ পর্বতারোহীর, ফোনে জানাল ‘ভালো আছি’
সুব্রত ভট্টাচার্য ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তিনি গত বছর অবসর নেন। কয়েক দিন আগেই বোন চন্দনার পরিবারের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মত তিনি ও তাঁর স্ত্রী চলতি মাসের ২১ তারিখে রওনা দেন। রানীগঞ্জ ও আসানসোল থেকে প্রায় ৩০ জনের একটি দল একটি বেসরকারি টুরিস্ট সংস্থার সঙ্গে যান। গত বুধবার উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে পাহাড়ি পথে ফিরছিল একটি চারচাকা গাড়ি। বাগেশ্বর জেলার কাটিকেট পাশ এলাকায় দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই গাড়িটি সহ আরও একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সব্রত ভট্টাচার্য যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা সব্রত ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী রুনা এবং বোন চন্দনা সহ ৫ জন পর্যটককে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় প্রায় ১৫ জন জখম হয়। এই ঘটনার খবর পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বুধবার এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে। আজ দুর্গাপুরের এই দম্পতি, রানীগঞ্জে তাঁদের আত্মীয়া এবং আসানসোলের দু’জনের মৃতদেহ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে দুর্গাপুরে এসে পৌঁছাবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। শনিবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে দেহগুলি এসে পৌঁছেছে।