কলকাতা: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলায় কমতে চলেছে প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখানোর খরচ। অন্যান্য ভাষার সিনেমা মুক্তি পেলেই, অনেক সময়ই দেখা যায় বাংলা ছবি (Bengali Cinema) অল্প কয়েকদিন চলেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে গায়েব। ভালো কনটেন্ট, ভালো স্টারকাস্ট থাকা সত্ত্বেও প্রেক্ষাগৃহে বেশিদিন ঠাঁই পায় না। এবার এই মুশকিলই কিছুটা আসান আসান হল ইম্পার (EIMPA) উদ্যোগে।
দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর ইম্পার উদ্যোগে বাংলা ছবির ডিজিটাল প্রোজেকশন চার্জ (Digital Projection Charge) এক লাফে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিল ইউফো (UFO)। যার ফলে বাংলা ছবি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনেকটাই খরচ কমবে ডিস্ট্রিবিউটার, প্রযোজকদের। ইম্পার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষার ছবি এত দিন পশ্চিমবঙ্গে ৭ দিন সিনেমা হলে দেখানোর জন্য সাড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ হত। সেই জায়গায় বাংলা ছবিকে দিতে হত ৭ হাজার টাকা। সুতরাং খরচ দাঁড়াত প্রতিদিন হাজার টাকা। ইম্পার উদ্যোগে সেই খরচই এক-তৃতীয়াংশ কমছে।
আরও পড়ুন: আবেগী গানে নাট্যমঞ্চে প্রশ্ন থাকল ‘আমি কে’!
ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ইউএফও’-র সঙ্গে এই বিষয়ে অনেকদিন আলোচনা চলছিল আমাদের। এতদিনে তাদের তরফে সদুত্তর পাওয়া গেল। এবার থেকে প্রেক্ষাগৃহে প্রতি বাংলা ছবি দেখানোর সাপ্তাহিক খরচ দাঁড়াবে ২,১০০ টাকা। তার উপর থাকবে জিএসটি। নতুন হিসেব অনুযায়ী, প্রতি দিনের খরচ দাঁড়াবে ৩০০ টাকা থেকে বড় জোর ৫০০ টাকা। তবে ‘কিউব’ কী করবে, সে সম্পর্কে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি পিয়া।
উল্লেখ্য, বাংলার বেশিরভাগ প্রেক্ষাগৃহে মূলত ‘ইউএফও’ ও ‘কিউব’ সংস্থার প্রজেক্টর চলে। ‘কিউব’ সংস্থাটি রয়েছে ছবি প্রযোজনা সংস্থা ‘এসভিএফ’-এর অধীনে। এই প্রসঙ্গে ‘এসভিএফ’ সংস্থার দুই অন্যতম কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা এবং মহেন্দ্র সোনিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি লিখেছেন ‘জাতিস্মর’, ‘চতুষ্কোণ’ ছবি খ্যাত প্রযোজক রাণা সরকার। সেখানেই রানা ‘এসভিএফ’-এর কর্ণধারদের ‘কিউব’-এর তরফেও প্রেক্ষাগৃহে প্রোজেকশন চার্জ কমানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁর মত, ‘ইউএফ’-ওর সংস্থার সমান সেই প্রজেকশন খরচ নেমে আসলে আখরে লাভ হবে বাংলা সিনেমার। কারণ বাংলার অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহে ‘ইউএফ’-ওর তুলনায় অনেকটাই বেশি রয়েছে ‘কিউব’ সংস্থার প্রজেক্টর।
দেখুন বিনোদনের আরও খবর