skip to content
Monday, June 17, 2024

skip to content
Homeআন্তর্জাতিকLotay Tshering | Doklam | ডোকলাম নিয়ে লোটে শেরিংয়ের মন্তব্য ভারতের জন্য...

Lotay Tshering | Doklam | ডোকলাম নিয়ে লোটে শেরিংয়ের মন্তব্য ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় কি?

Follow Us :

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে ভারত (India) ও চীনের (China) বিবাদ দীর্ঘদিন চলছে। ডোকলাম বিতর্ক (Doklam Dispute) তার মধ্যে অন্যতম। তবে ডোকলামের কথা উঠলে শুধু ভারত ও চীন নয়, আরও একটি দেশের কথা আলোচনায় উঠে আসে, সেটা হল ভূটান (Bhutan)। ডোকলাম নিয়ে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং (Lotay Tshering, Prime Minister of Bhutan) সম্প্রতি একটি মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নয়াদিল্লির জন্য চিন্তার বিষয় (Concerning Matter For New Delhi)। 

ভূটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বেলজিয়ামের (Belgium) জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘লা লিবরে (La Libre)’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ডোকলাম ইস্যুতে (Doklam Issue) সমস্যা সমাধান খোঁজার কাজ একা ভারতের নয়, সেখানে চীনের সমান গুরুত্ব রয়েছে এবং ভূটানও তার বক্তব্য রাখবে। এখানে কোনও দেশ ছোট বা বড় নয়, তিন দেশরই বক্তব্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে।  

আরও পড়ুন: Congress leader 500 Notes karnataka | নির্বাচনী প্রচারে টাকা ওড়ালেন কংগ্রেস নেতা শিবকুমার 

কী বলেছেন লোটে শেরিং?

ভূটানের প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে (Germany) বেলজিয়ামের সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ডোকলাম মালভূমি (Doklam Plateau) নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সে বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “সমস্যা সমাধানের বিষয়টি একা ভূটানের নয়। এখানে আমরা তিনজন রয়েছি। কোনও ছোট বা বড় দেশের বিষয় নেই এখানে, তিন দেশই সমকক্ষ (Equal), তিন জনই গুনতির মধ্যে পড়ে।”

শেরিং আরও বলেছেন, “আমরা তৈরি আছি। বাকি দুই পক্ষ যত তাড়াতাড়ি তৈরি হবে, আমরাও আলোচনায় (Discussion) বসতে পারি।”

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, ভূটান সীমান্তের ভিতরে চীন একটি গ্রাম (Village) তৈরি করছে। এপ্রসঙ্গে শেরিংয়ের বক্তব্য, যে জায়গাটির নিয়ে কথা উঠেছে, সেটি ভূটানের ভূখণ্ডের (Bhutan’s Territory) মধ্যে পড়ে না। ভূটানি প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, “ভূটানে চীনা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না, কারণ ওটা ভূটানের মধ্যে নয়। আমরা স্পষ্টভাবেই বলে এসেছি, যেমনটা মিডিয়াতে বলা হচ্ছে, সেরকম কোনও অনুপ্রবেশের (Intrusion) ঘটনা ঘটেনি। এটা আন্তর্জাতিক সীমার (International Border) বিষয় এবং আমরা ভালোভাবে জানি, কোনটা আমাদের ক্ষেত্র।” 

শেরিং এরপর বলেছেন, “চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে আমাদের খুব একটা বড়সড় সমস্যা নেই, কিন্তু কিছু ক্ষেত্র এখনও সীমানির্দেশ (Demarcate) করা হয়নি। একটা-দু’টো বৈঠকের পর, সম্ভবত আমরা বিভাজন রেখা (Dividing Line) টানতে সক্ষম হব।”

আরও পড়ুন: Cockroaches Survived | মহাপ্রলয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল ডাইনোসররা, অথচ দিব্যি বেঁচে রইল আরশোলা, কী করে?   

নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেদের বিষয় কেন? 

প্রথমত, ভূটানের প্রধানমন্ত্রী বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত শেরিং বলেছেন, ডোকলাম মালভূমি নিয়ে যে সমস্যা বা বিতর্ক চলছে, তা নিয়ে ভারত, ভূটান এবং চীন, তিন দেশ সিদ্ধান্ত নেবে।  

ডোকলাম মালভূমি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। ২০১৭ সালে উভয় দেশই দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সীমানা সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে ডোকলাম নিয়ে এখনও উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের বক্তব্য ছিল, চীনা সেনারা ভূটানের ওই অঞ্চলে এসে অনৈতিকভাবে রাস্তা তৈরি করছিল, যা নিয়ে ভারত প্রতিবাদ জানায়। ভারতীয় সেনারা ওই অঞ্চলে প্রবেশ করে চীনা সেনাদের বাধা দেয় রাস্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে। বিতর্কিত ওই রাস্তাটি মাউন্ট গিপমোচি (Mount Gipmochi) এবং ঝামপেরি পর্বতমালা (Jhampheri Ridge) দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছিল। তিন দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা যেখানে মিশেছে, তাকে ট্রাই-জাংশন পয়েন্ট (Tri-Junction Point) হিসেবে উল্লেখ করা হয়, জায়গাটির নাম বাটং লা (Batang La)। বাটাং লা-এর উত্তরে রয়েছে চীনের চুমবি উপত্যকা (Chumbi Valley), দক্ষিণ ও পূর্বে রয়েছে ভূটান এবং পশ্চিমে রয়েছে ভারতের সিকিম। কিন্ত, চীনের দাবি হল ট্রাই-জংশনের নাম গেমোচেন (Gyemochen)। তার অন্যতম কারণ হল বাটাং লা ট্রাই জংশনে চীন সেনা মোতায়েন করলে ততটা সুবিধা পাবে না। কিন্তু ভারতের জন্য সামরিক সুবিধা রয়েছে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সিকিম থেকে ভারতীয় সেনারা খব সহজেই চীনা সেনাদের ধরাশায়ী করতে পারবে। কারণ চুমবি উপত্যকা অত্যন্ত সরু জায়গা। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, সেই কারণেই ডোকলাম মালভূমি দখল নিতে চায় চীন। ওই জায়গার দখল নিয়ে সেনা মোতায়েন করলে ভারতীয় সেনাদের নজর ও নাগাল এড়াতে পারবে তারা। পাশাপাশি ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) খুব কাছে পৌঁছে চীনা সেনারা। তাতে ভারতের উপর কূটনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়বে। কারণ, শিলিগুড়ি করিডরের হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাতটি রাজ্যের সংযোগকারী রাস্তা।

এখানে উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ডোকলাম মালভূমি নিয়ে লোটে শেরিং নিজেই বলেছিলেন, “একতরফাভাবে তিনটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান ট্রাই-জাংশন পয়েন্টের কাছাকাছি কোনও পক্ষরেই কিছু করা উচিত নয়।” অথচ তিনি এখন বলছেন, তিন দেশই বক্তব্য রাখবে এক্ষেত্রে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
BJP | ঠাঁই হল না দলবদলুদের সংঘের চাপে, ভোট প্রার্থী আদি বিজেপি?
00:00
Video thumbnail
লোকসভায় জোর ধাক্কা, হতোদ্যম বঙ্গ বিজেপি, প্রার্থীতালিকায় নেই চমক, সংঘের চাপে প্রার্থী আদি বিজেপি?
00:00
Video thumbnail
Sukanta | Kanchenjunga Express | কী করে হলো দুর্ঘটনা? দায়ী কে? শুনুন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য
00:00
Video thumbnail
Mamata Banerjee | ভাড়া বাড়িয়ে যাচ্ছে, সুরক্ষায় নজর নেই! বিজেপিকে জোর ধাক্কা মমতার
00:00
Video thumbnail
N. Chandrababu Naidu | BJP | স্পিকার পদ বিজেপির, জোটের হাতে ডেপুটি? বিরাট ঝড়ের মুখে এনডিএ?
00:00
Video thumbnail
Kanchenjunga Express | Sukanta Majumder | রেল দুর্ঘটনায় পাশে দাঁড়ানোর রাজনীতি? এগিয়ে কোন দল?
00:00
Video thumbnail
Sukanta Majumder | Railway | শকুনের নজর ভাগাড়ে, বিরোধীর নজর রাজনীতিতে, রেল দুর্ঘটনায় এ কী মন্তব্য?
00:00
Video thumbnail
Kanchenjunga Express | কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা বাতিল বহু ট্রেন দেখে নিন তালিকা
00:00
Video thumbnail
Kanchanjunga Express | উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল উড়ানে কি দেখা হবে মমতা-আনন্দ বোসের?
00:00
Video thumbnail
Train Accident | ১২ মাসে ৪টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা , কতটা সুরক্ষিত রেলযাত্রা ?
00:00