মস্কো: ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার (Drone Strike) পর ইউক্রেনে (Ukraine) আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল রাশিয়া। রাশিয়া (Russia) দক্ষিণ ইউক্রেনের (South Ukraine) খেরসনে (Kherson) হামলা চালাল। ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। খেরসন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে । বাকিরা গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খারসনে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি (Vlodymyr Zelensky) বলেন, একটি রেলওয়ে স্টেশন ও একটি ক্রসিংয়ে হামলা চালানো হয়েছে। একটি গ্রোসারি সুপারমার্কেট, একটি বাড়ি, একটি গ্যাস স্টেশনে হামলা চালানো হয়েছে। ৪৮ জন আহত হয়েছেন। বিশ্বের এটি দেখা ও জানা দরকার। সুপার মার্কেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা মৃতদেহের ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই খেরসনে গত নভেম্বরে সেনা সরিয়ে নিয়েছিল রাশিয়া।
খেরসন প্রশাসন জানিয়েছে, তিন মে সকালে রাশিয়ার সেনা হামলা চালানো শুরু করে। হাইপার মার্কেটে কাজ করা তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। স্টেপানিভকা ও মুজিকিভকাতে কাজ করছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়াররা। খেরসনে ৫৮ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই সময় কাউকে রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে ঢোকা ও বেরনোও নিষিদ্ধ। নাগরিকদের বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় থাবার ও ওষুধ তাঁরা যেন সংগ্রেহ করে রাখেন। মানুষ একমাত্র কাছাকাছি দোকানে যেতে পারবেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যেন পরিচয়পত্র রাখেন। এই অস্থায়ী বাধা নিষেধ জরুরি। খেরসন রাশিয়া সেনা অভিযানের প্রথম দিকে দখল করেছিল।
আরও পড়ুন: ED Raid | Kolkata | পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ‘ভজা’, ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা
এদিকে ড্রোন হামলা (Drone Attack) হয়েছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) লক্ষ্য করে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধের আবহে ভ্লদিমির জেলেনস্কির (volodymyr zelensky) দেশই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। যদিও রাশিয়ার (Russia) এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ড্রোন হামলার বেশকিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বুধবার এই হামলার ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ক্রেমলিনের উপর আছড়ে পড়ছে দুটি ড্রোন। আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, পুতিনকে হত্যা করতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। পাশাপাশি এই হামলার জবাবও রাশিয়ার তরফে যথা সময়ে দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তারপরই হামলার তীব্রতা বেড়েছে।