কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ জন বিচারপতি স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। আইনমন্ত্রকের অনুমোদন পেলেই সেটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই তবেই সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের প্রস্তাবিত বিচারপতিদের তালিকায় রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করা হতে পারে। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট পেতে পারে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি। প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে মধ্যপ্রদেশের বিচারপতি থেকে উন্নতি ঘটিয়ে কলকাতার প্রধান বিচারপতি করা হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শুক্রবার দেশের ১৩ জনকে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তাদের মধ্যে আটজনকে প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তে সম্ভাব্য স্থানান্তর:
ছিলেন (হাইকোর্ট) হলেন (হাইকোর্ট)
রাজেশ বিন্দল কলকাতা ( ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি) এলাহাবাদ (প্রধান বিচারপতি)
প্রকাশ শ্রীবাস্তব মধ্যপ্রদেশ কলকাতা (প্রধানবিচারপতি)
বিশ্বনাথ সমাদ্দার মেঘালয় (প্রধান বিচারপতি) সিকিম (প্রধান বিচারপতি)
প্রশান্ত কুমার মিশ্র এলাহাবাদ অন্ধ্রপ্রদেশ (প্রধান বিচারপতি)
ঋতুরাজ অবস্তি এলাহাবাদ কর্ণাটক (প্রধান বিচারপতি)
সতীশ চন্দ্র শর্মা মধ্যপ্রদেশ তেলেঙ্গানা (প্রধান বিচারপতি)
রঞ্জিত ভি মোর মুম্বই হাইকোর্ট মেঘালয় (প্রধান বিচারপতি)
অরবিন্দ কুমার কর্ণাটক গুজরাত (প্রধান বিচারপতি)
আর ভি মালিমাঠ উত্তরাখণ্ড মধ্যপ্রদেশ ( প্রধান বিচারপতি)
অরূপ গোস্বামী অন্ধপ্রদেশ (প্রধান বিচারপতি) ছত্রিশগড় (প্রধান বিচারপতি)
মহম্মদ রফিক মধ্যপ্রদেশ (প্রধান বিচারপতি) হিমাচল প্রদেশ (প্রধান বিচারপতি)
অখিলেশ কুরেশি ত্রিপুরা (প্রধান বিচারপতি) রাজস্থান (প্রধান বিচারপতি)
ইন্দ্রজিৎ মহান্তি রাজস্থান (প্রধান বিচারপতি) ত্রিপুরা (প্রধান বিচারপতি)
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব । মধ্যপ্রদেশের বিচারপতি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যোগীর বিরুদ্ধে মামলা করায় মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন সমাজকর্মী
১৯৬১ সালের ৩১ মার্চ জন্ম প্রকাশ্যে শ্রীবাস্তবের। ১৯৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী পেশায় আসেন তিনি। সুপ্রিমকোর্টের সংবিধান আয়কর ও দেওয়ানী মামলায় পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। ২০০৮ শালী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সালে স্থায়ী বিচারপতির হন। ২০১৫ সালে ৬ জুলাই ভূপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কমিশনার নিযুক্ত করেন তাঁকে।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে তৃণমূলের আইনজীবী সংগঠন ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। পাশাপাশি বিচারপতি অরিন্দম সিনহা নারদ মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলের বৈঠকে একযোগে বিরোধিতা, জ্বালানি তেলে বসছে না জিএসটি
তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের এই প্রস্তাবটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে তবেই বাস্তবায়িত হবে।