রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার প্রতিবাদে শাসকদলের এই কর্মসূচি। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের বিধায়ক, সাংসদ ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের থাকতে বলা হয়েছে ওই কর্মসূচিতে। আগামী বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এ ব্যাপারে দলের কর্মী-সমর্খকদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ অক্টোবর রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে জমায়েত হবেন তৃণমূলের (TMC) নেতা-মন্ত্রীরা।
ওই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee) থাকার কথা ছিল। কিন্তু স্পেনে গিয়ে তিনি ফের সেই বাঁ পায়েই চোট পাওয়ায় তাঁকে হাঁটাচলা কম করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিতসকরা। আপাতত মুথ্যমন্ত্রীকে দশদিন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর দিল্লি যাত্রা অনিশ্চিত। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, দিল্লির ধরনায় তিনি থাকবেন।
আরও পড়ুন: জাল নোট সহ গ্রেফতার ভুয়ো সাংবাদিক
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের প্রচারে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাই ছিল বড় ইস্যু। অভিষেক দাবি করেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর ১০ লাখ লোক নিয়ে দিল্লিতে ধরনা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, দরকার হলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দফতর ঘেরাও করা হবে। পরে অভিষেক দশ লাখ লোক থেকে কমিয়ে চার লাখ লোক নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
রামলীলা ময়দানে ধরনার জন্য তৃণমূল দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। সেই সময় দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাংসদ, বিধায়কদের রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে তো আপত্তি নেই। তাঁর নির্দেশেই শেষে ঠিক হয়, দলের নেতারা ২ অক্টোবর রাজঘাটে গান্ধীজিকে স্মরণ করবেন। পরের দিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের দফতরে স্মারকলিপি দেবেন। তবে তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দেখা হবে কি না, তা অনিশ্চিত। কারণ তিনি ছত্তিশগড়ের ভোটের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। সেই সময় মন্ত্রী দিল্লিতে থাকবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের।
দেখুন আরও খবর: