বসিরহাট: তীব্র গরম (Hot Weather)। লু বইবার সতর্কতা একাধিক জেলায়। কলকাতায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। রাস্তায় বেরিয়ে সাময়িক আরাম পেতে ঠাণ্ডা পানীয়ের দিকে চোখ চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, সেই পানীয় ঠাণ্ডা (Cold Drinks) করার দেওয়া বরফ থেকেও রোগ ছড়াতে পারে। সতর্কতা থাকলেও অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। মাছে দেওয়া বরফ গলিয়ে বিক্রি হচ্ছে ঠাণ্ডা পানীয় অনেক জায়গায়। এবার তাই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনেকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার (Basirhat Subdivision) মিরাকা ব্লকের ধুতুরদহ (Dhuturdaha) গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুতুরদহ গ্রামের ঘটনা।
ওই গ্রামে বাৎসরিক কালীপুজো ( KaliPuja) অনুষ্ঠান ঘিরে মেলা বসেছিল। সেখানে বিভিন্ন দোকানিরা বরফের সঙ্গে লেবু, চিনি, মিশিয়ে দেদার বিক্রি করেছেন। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় ঠাণ্ডা পানীয় খাবার জন্য কার্যত হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন মানুষ। তা থেকেই বিপত্তি। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। ক্রমশ সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। মেলায় আসা শিশু, মহিলা, পুরুষের অনেকের পায়খানা, বমি হতে শুরু করে। তীব্র মাথার যন্ত্রণার কথা বলেন অনেকে। ডায়েরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়েছেন গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক। আক্রান্তদের মধ্যে ১১৩ জনকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকে পায়খানা, বমি মাথার যন্ত্রণা, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন: Station Master Cat | বিড়াল যখন মেট্রোর স্টেশন মাস্টার
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডায়েরিয়া আক্রান্ত হওয়া এই সব রোগীরা ভয়ের কোনও কারণ নেই। শুশ্রুষার পর ঠিক হয়ে যাবে। ওই মাছের দেওয়া বরফগুলোকে ঠান্ডা পানীয় করে দোকানিরা বিক্রি করেন। আর সেইগুলো খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গ্রামের মানুষ। চিকিৎসা চলছে। গ্রামে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে।এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, প্রথমে কয়েক জনের বমি হচ্ছিল। তারপরে আরও কয়েকজনের বমি হতে শুরু করে। তখনই আতঙ্ক ছড়ায়। পরে সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখন ভয় পেয়ে হাসপাতালে জানানো হয়। এরকমভাবে আমাদের গ্রামে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই ঘটনা ঘটেনি। আরেক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, আমাদের পরিবারে শিশু সহ তিন জন অসুস্থ। মাথায় যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সঙ্গে ডায়েরিয়াও হয়েছে। উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। এখন তাঁরা সুস্থ আছেন।