নয়াদিল্লি : উত্তর প্রদেশের কোনও বিরোধী দল কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রায় (March)সম্ভবত সামিল হচ্ছে না। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) তরফে অবশ্য ইতিমধ্যে সমস্ত বিজেপি-বিরোধী দলকে দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া যাত্রার চূড়ান্ত পর্বে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সমাজবাদী পার্টি, লোকদল বা বহুজন সমাজ পার্টির তরফে এথনও পর্যন্ত সে আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) নিজে যে ওই যাত্রায় সামিল হচ্ছেন না তা একরকম নিশ্চিত। তবে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে তিনি ভারত জোড়ো যাত্রায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেবেন কি না তা এখন স্পষ্ট নয়। দলের মুখপাত্র ঘনশ্যাম তেওয়ারি জানিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার যে মূল লক্ষ্য তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। কিন্তু এখনই এই ধরণের কোনও কর্মসূচিতে সামিল হয়ে তাঁরা ভোটের অনেক আগেই অকারণে নির্বাচন জোটের জল্পনা তৈরি করতে চান না।
রাজ্যে আর এক বিরোধী পক্ষ রাষ্ট্রীয় লোক দলের (Lok Dal) শীর্ষ নেতা জয়ন্ত চৌধুরীর (Jayanta Chowdhury) সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই কিছু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তাঁর পক্ষে ওই যাত্রায় সামিল হওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু দলের মুখপাত্র রোহিত ঝাখর-এর বক্তব্য, ভারত জোড়ো যাত্রাকে তাঁরা নীতিগতভাবে সমর্থন করেন। কিন্তু ওই কর্মসূচিটি শুধুমাত্র রাজনীতির অঙ্কে মাপজোক করলে হবে না। আর রাজস্থানে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে সরকারে আছেন। তাই ভারত জোড় যাত্রায় সামিল না হলেও তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন।
আর সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে যোগীরাজ্যে একবারে সাফ হয়ে যাওয়া বিএসপি (BSP) সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati) বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করে আসছেন। এমনকি বিধানসভা ভোটের প্রচারে তিনি জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ করা। তাই বিএসপি নেতৃত্ব যে কোনওভাবেই ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।