আবার এ এফ সি কাপে কোয়ালিফাই করল আই এস এল চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান। বুধবার কোজিকোড়ে প্লে অফ ম্যাচে তারা টাই ব্রেকারে হারিয়ে দিল হায়দরাবাদ এফ সি-কে। নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। টাই ব্রেকারে মোহনবাগান জিতল ৩-১ গোলে। তাদের হয়ে গোল করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসো এবং কিয়ান নাসিরি। শুধু কার্ল ম্যাকহিউর শট বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদের গোলকিপার অনুজ কুমার। হায়দরাবাদের জোয়াও ভিক্টর প্রথম শটে গোল করলেও এর পর টাভোরা, চাইনিস এবং ওডেই বাইরে মেরে শট নষ্ট করেন। মোহনবাগান ম্যাচ জিতে যায়। এবারের আই এস এল সেমিফাইনালে হায়দরাবাদকে টাই ব্রেকারে হারিয়ে মোহনবাগান ফাইনালে উঠেছিল। দেখা গেল, এ এফ সি কাপের প্লে অফ-এ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হল না।
তবে ম্যাচ যা হয়েছে তাতে বলা যায়, খেলল হায়দরাবাদ, জিতল মোহনবাগান। ম্যাচের নব্বই মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়ের তিরিশ মিনিট হায়দরাবাদ দাপিয়ে খেলেছে। কিন্তু তাদের ফরোয়ার্ডরা গোলের সামনে প্রাপ্ত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। এর জন্য প্রশংসা করতে হবে মোহনবাগান ডিফেন্স এবং গোলকিপার বিশাল কাইথের। ম্যাচের গতির বিরুদ্ধে মোহনবাগানই অবস্য গোল করে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে হুগো বুমোর ব্যাক পাস ধরে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ম্যাচের বয়স তখন ২০ মিনিট। ৪৪ মিনিটে সেই গোল শোধ করে হায়দরাবাদ। বোরখার সেন্টার থেকে গোল করেন চাইনিজ। এই ম্যাচটাই ছিল হায়দরাবাদের কোচ হিসেবে মানোলো মার্ককিউসের শেষ ম্যাচ। দুঃখের কথা শেষ ম্যাচে তাঁর টিম তো হারল, তিনিও লাল কার্ড দেখলেন। ৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানালো মাঠে নেমে রেফারির দিকে তেড়ে যান। রেফারি আর ভেঙ্কটেশ তাঁকে লাল কার্ড দেখান। লঘু পাপে গুরু দণ্ড বলা যায়। গ্যালারিতে বসে ম্যাচের অতিরিক্ত সময় এবং টাই ব্রেকারে দলের হার দেখেন মানালো, গত বছর যিনি হায়দরাবাদকে আই এস এল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আর এবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান আবার কোয়ালিফাই করল এ এফ সি কাপে। এটিকে মোহনবাগানের এটাই ছিল শেষ ম্যাচ। সামনের বছর থেকে তারা খেলবে মোহনবাগান সুপারজায়েন্টস নামে। আর হায়দরাবাদের লেফট ব্যাক আকাশ মিশ্র সামনের মরসুমে খেলবেন মোহনবাগানের হয়ে। হায়দরাবাদের হয়ে এটাই ছিল তাঁর শেষ ম্যাচ।