কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam Case) এবার ইডি-র (ED) নজরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন (Bidhut Baron Gayen)। বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) কর্মী বিদ্যুৎবরণের বীরভূম (Birbhum) জেলাজুড়ে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তিনি। এএনএম অ্যাগ্রো ফুড প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (ANM Agro Food Pvt Ltd Company) নামে একটি সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টর বিদ্যুৎবরণ। ওই কোম্পানিরই আর একজন যুগ্ম ডিরেক্টর হলেন ধৃত কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় এবার বিদ্যুৎবরণকে ডাকার তোড়জোড় শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal)। তবে তাঁদের গ্রেফতার হওয়ার পরেও থেমে নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিদ্যুৎবরণের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছে আগে।
আরও পড়ুন: Weather Update | বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়, বইবে ঝোড়ো হাওয়া
এই বিদ্যুৎ বরণগায়েন বোলপুর পুরসভায় একজন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ২০১১ সালের পর সেখানে তিনি স্থায়ী চাকরি পান। তৃণমূল সরকারের আসার পর এই বিদ্যুৎবরণ গায়েনের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন সময় তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে বোলপুরের তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে। তিনি যে অনুব্রত মণ্ডলের খুব কাছের মানুষ তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর যে সমস্ত সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেই সকল সংস্থার প্রথম ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। উল্লেখযোগ্য, এই সকল সংস্থার দ্বিতীয় ডিরেক্টরের নাম হিসেবে রয়েছে পুরসভার এই কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের। পাশাপাশি প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর নামে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। একজন সাধারণ পুরসভার কর্মী হয়ে কীভাবে এত প্রতিপত্তির মালিক হলেন বিদ্যুৎ বরণ গায়েন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বোলপুর পুরসভার অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুরে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে দুটি বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি আরও জমিজমা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অস্থায়ী কর্মী হিসাবে পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন ২০০৮ সাল নাগাদ। সেই সময় তিনি গাড়ির খালাসি হিসাবে কাজ করতেন। এর পর ২০১২ সালে পুরসভার স্থায়ী কর্মী হন। স্থায়ী কর্মী হওয়ার পর খালাসি থেকে পদোন্নতি হয়ে গাড়িচালক হন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, বোলপুরের মতো শহরে অন্তত চারটি বাড়ি রয়েছে পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের মতো অনুব্রতর অন্যতম ছায়াসঙ্গী ছিলেন বিদ্যুৎবরণ। সিবিআইয়ের আরও দাবি, বিদ্যুৎবরণের নামে একটি গাড়ির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যা এক সময় অনুব্রত ব্যবহার করতেন।