নয়াদিল্লি : বিশ্বজুড়ে যখন নামিদামি কর্পোরেট সেক্টরে (Corporate Sector) ছাঁটাইয়ের হিড়িক চলেছে, তখন ভারতের মত দেশে সামান্য হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬ মাসে নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৬২ শতাংশ ধরা হয়েছে, যা গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। টিমলিজ (TeamLease) এডটেক দ্বারা প্রকাশিত ক্যারিয়ার আউটলুক রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই সময়কালে ভারতে নতুন নিয়োগের পরিমাণ ৬৮ শতাংশে দাড়িয়েছে বলে এই সমীক্ষায় জানানো হয়। গত বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে বৃহৎ-মাঝারি এবং ক্ষুদ্র মিলিয়ে ৮৭৪টি সংস্থার উপর টিমলিজ এডটেক সমীক্ষা চালিয়ে ছিল ।
সমীক্ষা বলছে, নিয়োগকারীরা বুঝতে পারছেন, বিপুল পরিমাণ টাকা দিলেই মধ্য মেধার চাকুরেদের কাছ থেকে ভালো কাজ পাওয়া যায় না। তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা নতুনদের নিয়োগ করলে তাঁদের দিয়ে অনেক বেশি কাজ করানো যায়। এই কারণেই বড় শিল্প সংস্থাগুলি ফ্রেশারদের (Fereshers)নিয়োগের পক্ষপাতী। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এখন দুঃসময় চললেও ফ্রেশারদের (Freshers)নিয়োগের হার ভারতেই ৬৭ শতাংশের কাছাকাছি। ইকমার্স এবং টেকনোলজি (E-Commerce Technololgy) ক্ষেত্রেও এই হার ৫২ শতাংশ, টেলি কমিউনিকেশনে তা ৫১ শতাংশ, হেলথ কেয়ার এবং ফার্মাসিউটিক্যালসে ৪৫ শতাংশ এবং ইঞ্জিনিইয়ারিং ও ইনফ্রাসটাকচার তা ৪৫ শতাংশের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন : Elon Musk On ChatGPT: মানবসভ্যতার জন্য ঘোর বিপদ হয়ে দেখা দেবে চ্যাটজিপিটি!
টিমলিজের (TeamLease) প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শান্তনু রুজ বলেন, এখন নিয়োগ কর্তারা নিয়োগ পদ্ধতিতে অনেক সংস্কার এনেছে। তাঁরা এখন কম বেতনের ফ্রেশার নেওয়ারই পক্ষে। কারণ ফ্রেশারদের দিয়ে অনেক বেশি কাজ করানো যায় এবং তাঁদের আর্থিক চাহিদাও কম। সমীক্ষা সংস্থার মতে, সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট সার্টিফিকেশন, ডাটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিজনেস ল এবং কর্পোরেট ল-এ এই ফ্রেশারা ভর্তি হতে পারেন ভবিষ্যতে আরও উন্নতির জন্য। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬ মাসে ফ্রেশার নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা হয়েছে বেঙ্গালুরু (৭৫ শতাংশ), মুম্বই (৫৬ শতাংশ) এবং দিল্লিকে (৪৭ শতাংশ)।