কলকাতা: দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে দ্রুত শক্তিশালী হয়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Biparjoy) পরিণত হয়েছে। সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে অগ্রসর হবে। এই ঘূর্ণিঝড় আসলে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আরব সাগরের নিকট উপকূলবর্তী এলাকা ভারত, ওমান, ইরান এবং পাকিস্তানের আবহাওয়ায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘বিপর্যয়’-এর। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিন দিনে আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি-র টুইট অনুসারে, পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দিকে ৫টায় গোয়ার ৮৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মুম্বই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আরও তীব্র হবে। উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
আরও পড়ুন: RBI | Shaktikanta Das | অর্ধেক ২০০০ টাকার নোট ফিরে এসেছে, জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে গুজরাতে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বুধবার সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। এই বছর আরব সাগরে তৈরি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি। আগামী দিনে উপকূলীয় জেলাগুলিতে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাজ্যের কিছু অংশে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯ থেকে ১১ জুনের মধ্যে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতের হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আইএমডি-র পূর্বাভাস, প্রতি ঘণ্টায় এবং পরে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে শক্তিশালী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পাকিস্তানে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের বাকি অংশে বর্ষা ঢুকতে সময় লাগবে। আইএমডি জানিয়েছে, ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা (Monsoon)ঢুকল । নির্ধারিত সময় থেকে সাতদিন পর ৮ জুন কেরলের মাটি স্পর্শ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ইতিমধ্যে সেখানে প্রাক বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রবিবারের মধ্যে বাংলায় বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গ দিয়েই বর্ষা প্রবেশ করে বাংলায়।