কলকাতা: ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিস্তারিত মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ওই তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রার্থীদের নাম ছাড়াও জেলা, জাতি, শ্রেণিরও উল্লেখ করতে হবে বলে বুধবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে। ওই বছর বেশ কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয়।
এদিনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে। আবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত সংক্রান্ত সিবিআই রিপোর্টও বুধবার আদালতে জমা পড়ে। ২৮ পাতার দীর্ঘ ওই রিপোর্টে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকেই নিয়োগ দূর্নীতির কিংপিন বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই। একই সঙ্গে যাবতীয় দুর্নীতির জন্য মানিককেই দায়ী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বদান্যতায় কীভাবে আইন সংশোধন করে মানিককে বছরের পর বছর পর্ষদ সভাপতির পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে, সিবিআই রিপোর্টে তারও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | মালদহ সফরে মমতা, বোলপুর স্টেশনে জেলার নেতাদের উচ্ছ্বাস
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের নির্দেশ ঘিরেও আইনজীবী মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকের মামলা সরানোর নির্দেশ দেয়। তা নিয়ে দিনভর টানাপড়েন চলে। সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ওয়েবসাইটে ওঠার পর দেখা যায়, সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিকের আবেদন সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। ওই রাতে তিনি বলেন, এর পর আমার এজলাস থেকে অন্যান্য মামলাও সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। যে যুক্তিতে আজ দুটি মামলা সরানো হল, সেই একই যুক্তিতে বাকি মামলাগুলিও সরানো হতে পারে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, মামলা সরানো হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে। আজ আমার মৃত্যুদিন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা চলে যাওয়ায় অনেকেই হতাশ হন। তবে বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলায় তাঁর নির্দেশের পর সেই হতাশা অনেকটাই কেটে যায়। তাঁরা এই ভেবে আশ্বস্ত হন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সব মামলা সরানো হয়নি।