কলকাতা: শাসন নামটা শুনলেই বাম আমলে গুলি, বোমার লড়াইয়ের কথা মনে আসে। কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে। তার আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সেই শাসন থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে বোমা তৈরির মশলা সহ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অভিযান চালিয়ে স্থানীয় দাপুটে তৃণমূল নেতা শুকুর আলি (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে শুকুর আলিকে আটক করা হয়। তার বাড়ি থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর রাজ্য পুলিশের এসটিএফের সাব ইন্সপেক্টর শেখ আবিদ হাসানের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, খামার রামেশ্বরপুরে ধৃতের বাড়ি থেকে ৫টি দেশি পিস্তল সহ ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে একটি, রাইফেল উদ্ধার হয়েছে ১টি। ১২ বোরের পিস্তল উদ্ধার হয়েছে একটি। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক মজুত রাখার ১৯০৮ সালের আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে ওই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন Anubrata Mandal: কেষ্টর কোটি টাকা জয়ের লটারির এজেন্সি কর্তাকেও তলব সিবিআইয়ের
এদিকে, শুকুর আলিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শাসন অঞ্চলের গোয়ালঘাটা রোড এদিন অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, শুকুরকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। শাসন থানা এই চক্রান্তে জড়িত। শাসন পঞ্চায়েতে ডেউপুকুর গ্রামের তৃণমূল সভাপতি শুকুর আলি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, বিরোধীরা চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে শুকুর আলিকে। বিজেপির জেলা নেতা শংকর চ্যাটার্জি বলেন, ভোট আসছে, ফলে শাসক দল অস্ত্রের উপর ভরসা করছে। একজনকে তো ধরা হয়েছে। এরকম অনেকের বাড়িতেই অস্ত্র পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, শাসনের ডেউপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি শুকুর আলির মেছো ভেরি ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র পাচারের ব্যবসাও ছিল।শাসন পঞ্চায়েতজুড়ে তার প্রভাব। শাসন অঞ্চল জুড়ে কোটি কোটি টাকার মাছের ভেড়ির ব্যবসা চলে। এইসব ভেড়ি কার দখলে থাকবে, তা নিয়ন্ত্রণ করে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা।